শীত মানেই ফ্যাশান জমে সোয়েটার, জ্যাকেট আর মাফলারে। বছরের এই মাত্র একটা সময়েই ফ্যাশানেবল সোয়েটার, জ্যাকেট পরা যায়। আমাদের রাজ্যে শীতের স্থায়িত্ব বড়ই কম। আর তাই এই ২ মাস সকলেই চান শীতের আনন্দ চেটে পুটে উপভোগ করে নিতে। শীতে যে কোনও পার্টি, অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণও থাকে বেশি। কলেজ পড়ুয়া থেকে শুরু করে রোজকার ১০-৫ টার অফিস করা মেয়েটি- সকলেই অভিনেত্রী ইশা সাহার ফ্যাশানে ফিতদা। এমনকী নিজেদেরও সেই ভাবে সাজিয়ে নিতে চান। ওবেসিটির সমস্যা সমাজে জাঁকিয়ে বসলেও অধিকাংশই এখন ফিটনেস ফ্রিক। সকলেই চান নিজেকে সুন্দর দেখাতে। আর তাই নিয়ম মেনে খাবার খাওয়া, শরীরচর্চা সবই চলতে থাকে সমান তালে। ইনস্টাগ্রামে ইশা কোনও ছবি পোস্ট করলেই ঝাঁপিয়ে পড়েন তাঁর অনুরাগীরা।
এমন কী জাদু আছে ইশার ফ্যাশানে?
ফ্যাশানের অর্থ এক একজনের কাছে এক একরকম। আগেকার দিনে মানুষ ভীবত রোজকার পোশাকের বাইরে একটু অন্যরকম কোনও কিছু পরলে তাই ফ্যাশান। অর্থাৎ শাড়ির পরিবর্তে জিন্স আর টি-শার্ট পরলে তাই-ই ফ্যাশান। ইদানিং কালে ফ্যাশানের ভাবনায় এসেছে আমূল পরিবর্তন। সাধারণ আর ক্যাজুয়াল লুকই এখন ফ্যাশান। রোজকার জিন্স, শাড়ি, টি শার্ট, টপ, জ্যাকেট, শটসেই হয় এখন ফ্যাশান। চোখে সামান্য কাজল আর নামমাত্র মেকআপেই আসে স্মার্ট লুক। ইশাও ফ্যাশান করেন এই সব শর্ত মেনেই। খুব সাধারণ আউটফিটেই তিনি অসাধারণ ভাবে নিজেকে সাজাতে জানেন।
পোশাকের রং নির্বাচন ইশার USP
ইশার পোশাক নির্বাচনও খুব সুন্দর। যে সমস্ত রং তিনি পছন্দ করেন সেই সব রঙই খুব ট্রেন্ডি। পিংক, অফ হোয়াইট, সবুজ, প্যাস্টেল শেডস- এখনকার মেয়েদের এই সব রঙই বেশি পছন্দ। এই রঙে দেখতেও লাগে স্মার্ট। থাকে আত্মবিশ্বাসও। গায়ের রং দেখে পোশাক নির্বাচন নয়, পোশাক বাছার ক্ষেত্রে প্রাথমিক ভাবে জোর দেওয়া হয় নিজের পছন্দের উপর।
শীতের নরম রোদ উপভোগ করতে কে না ভালবাসে। ইশাও তার ব্যাতিক্রম নয়। সকালের নরম রোদে আয়েষ করে ব্যালকনিতে বসলেন ইশা। পরনে পেস্তা রঙের ওভার সাইজ হাইনেক সোয়েটার ড্রেস। শেষ ২ বছর ধরে ব্যাগি হাতা সোয়েটার রয়েছে ট্রেন্ডিংয়ে। ইশাও তাই এমন পোশাকই বেছে নিয়েছেন। স্মুথনিং করা চুল এলিয়ে আর চোখে সামান্য কাজলের ছোঁয়া দিয়েই তিনি মন কেড়েছেন অনুরাগীদের। ছবি পোস্ট করা মাত্রই কমেন্টবক্স উপচে পড়েছে ভালবাসায়। সত্যিই, এই শীতে এক সোয়েটারেই আগুন ঝধরিয়ে দিয়েছেন ইশা।