
বলিউড থেকে হলিউড তাবড় সব তারকারা হা পিত্যেশ করে বসে থাকেন বিশ্বের সব থেকে বড় ফ্যাশন ইভেন্টে ডাক পাবার অপেক্ষায়। ঐশ্বর্য রাই, দীপিকা পাড়ুকোন, ক্যাটরিনা কইফ-সহ একাধিক তারকাকে এর আগে দেখা গিয়েছে মেট গালার রেড পার্কেটে। এই বছর প্রথম আর্ন্তজাতিক এই ফ্যাশন মঞ্চ থেকে ডাক পেলেন আলিয়া ভাট। বিশিষ্ট এক ফ্যাশন পত্রিতার সম্পাদক এই অনুষ্ঠানের দায়িত্বে থকেন। মেট গালার মঞ্চে তারকাদের ফ্যাশন দেখতে অপেক্ষা করে থাকে গোটা বিশ্ব। কোন তারকা কেমন পোশাক পরলেন তা নিয়ে জোর চর্চাও চলে সমাজ মাধ্যমে। একেবারে পরীর মত সাদা গাউনে সেজে এবারের মেট গালায় হৈজির হলেন তিনি। আলিয়ার এদিনের সন্ধ্যায় পাশ্চাত্যের ছোঁয়া যত না ছিল তার চাইতে অনেক বেশি দেশজ ছোঁয়া ছিল তাঁর পোশাক জুড়ে।
মেট গালায় উপস্থিত তারকা পাপারাৎজিদেরও নজর কেড়েছেন গাঙ্গবাঈ আলিয়া। গাঙ্গুর চরিত্রে অভিনয় করার পর থেকে তাঁর সাদা-প্রীতি বেড়েছে। যদিও এবারের মেট গালায় প্রয়াত পোশাকশিল্পী কার্ল লেগারফিল্ডের পোষ্য বেড়াল সুপেটের প্রতি উৎসর্গ করেছেন। এই বছরের মেট গালার থিমই উৎসর্গ করা হয়েছিল কার্ল লেগারফিল্ডের প্রতি। আলিয়া তাঁর মেট গালার থেকে বিশেষ কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে লেখেন- আমি বারবার আইকনিক শ্যানেলের ব্রাইডদের দেখে মুগ্ধ হয়েছি। আর তাঁর প্রথমবার মেট গালার এই সাজের অনুপ্রেরণা তাই সুপার মডেল ক্লডিয়া শিফার। ১৯৯২ সালে শ্যানেল তাঁকে ব্রাইডাল মডেল হিসেবে সাজিয়েছিলেন। আলিয়ার এই গাউনেও তাই ছিল ব্রাইডাল টাচ।
প্রথমবার মেট গালায়, আর তাই আলিয়া চেয়েছিলেন তাঁর পোশাকে যেন দেশের ছোঁয়া থাকে। আর তাই বিদেশের কোনও ডিজাইনার নন, ভারতীয় ডিজাইনার প্রবাল গুরুং আলিয়ার জন্য বিশেষ এই পোশাকটি বানিয়েছিলেন। মোট এক লক্ষ মুক্তো ব্যবহার করা হয়েছে আলিয়ার এই গাউনটি বানাতে।
লো কাট এই গাউনটির কোমরের পর থেকে ছিল ড্রামাটিক টাচ। উপরের অংশে কাঁধের দিক ছিল বেশ ফিটেড আর ছড়ানো। আলিয়ার পুরো ড্রেস জুড়ে মুক্তোর যে কাজ করা ছিল তাই সবথেকে বেশি নজর কাড়ছে। যেহেতু ব্রাইডাল গাউন তাই নজর কেড়েছে এই গাউনের লং টেল। আপাদমস্তক মুক্তোতে মুড়ে নিয়েছেন আলিয়া। হাতে আংটি, কানে স্টেটমেন্ট দুল চুলে মুক্তোর হেয়ার ডু-আলিয়ার থেকে নজর সরাতে পারছিলেন না কেউই। তাঁর ফ্যানেরা যেমন মুগ্ধ তেমনই তামাম বিশ্ব মুগ্ধ আলিয়ার এই বিশেষ সাজে।