করোনার জেরে মানুষ এখন ঘরকুনোও হয়ে গিয়েছে, হাতের মধ্যেই যখন সারা দুনিয়া আবদ্ধ তখন বেশি চিন্তা না করেই বাড়ির সমস্ত দরকারি জিনিস যেমন কিচেনের সরঞ্জাম, আসবাবপত্র, ইলেকট্রনিক্সের জিনিসপত্র কিনতে দ্বিধা করছেন কেউই। সেক্ষেত্রে বিয়ের কনের লেহেঙ্গা-চোলিই বা বাদ যায় কেন? ভারতের নামী-অনামী ডিজাইনারের দামী- কম দামী ডিজাইনলার লেহেঙ্গা কেনার ঝোঁক বেড়েছে অনেক। তবে অনলাইনে লেহেঙ্গা-চোলি কেনার আগে যে যে কথা মাথায় রাখতে হবে, সেগুলি দেখে নিন…
– বিয়ের সময়সূচি এগিয়ে আসলে বা ব্যস্ততার মধ্যে লেহেঙ্গা পছন্দ করার আগে দেখে নিন বিয়ের জন্য বিশেষ লেহেঙ্গাটি স্তরে স্তরে ভাঁজ করা যাচ্ছে কিনা।
– অনলাইনে বিয়ের পোশাকে কেনার সময় সেটি যাতে আরামদায়ক হয়, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। অনলাইনের বেশিরভাগ পোর্টারগুলিতে লেহেঙ্গার পুরোপুরি তথ্য দিয়ে রাখে। ফলে ফেব্রিকের ব্যাপারে খুঁটিনাটি পেয়ে যাবেন সেখানে।
– অনলাইনে লেহেঙ্গা কেনার একটি অন্যতম সমস্যা হল, খুব কম পোর্টাল রয়েছে, যেগুলি কেনার আগে ট্রাই করার অনুমতি দেয়। ফলে অনলাইন সাইটে বিয়ের পোশাক নিয়ে আলোচিত বিষয়গুলি পড়েই আপনাকে পোশাক কেনার কথা ভাবতে হতে পারে।
আরও পড়ুন: শাড়ি আর স্নিকার্সেই বাজিমাত! মস্কো ভ্রমণে অন্য তাপসীকে দেখে আপ্লুত নেটিজেনরা
– অনেকেই রয়েছেন দোকান গিয়ে কোনও জিনিস নিয়ে চূড়ান্ত বার্গেডিং করতে পারেন। তাঁদের জন্য অনলাইন শপিং মোটেই উপযুক্ত নয়। যাঁরা কম সময়ের মধ্যে দর কষাকষির ঝামেলা এড়িয়ে যেতে চান, তাঁরা অনলাইনে শপিং করতে পারেন।
– অনেকেরই ধারণা থাকে, অনলাইনের থেকে দোকানে সরাসরি লেহেঙ্গা কেনা অনেক ভাল উপায়। কারণ চোখে না দেখলে সেই জিনিসের কদর করা যায় না। এছাড়া বিয়ের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ দিনে বিয়ের পোশাক যেন নিখুঁত হয় সেদিকে বিশেষ খেয়াল থাকে। পোশাকটি পরে কনেকে কেমন লাগবে, তা নিয়ে চিন্তা থাকে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের।
– যদি অনলাইনে কিনতেই হয়, তাহলে সেই সাইটে লেহেঙ্গার ডিজাইনার ও স্টোরের মালিকের ফোন নম্বর দেওয়া থাকে, নির্দ্বিধায় পোশাক সম্বন্ধে আলোচনা করতে পারেন।
– ব্যস্ততার মধ্যেই বিয়ের কনের পোশাক পছন্দ করা কোনও সহজ কাজ নয়। আগে থেকেই পছন্দের স্টোরগুলি উইশলিস্টে রেখে পছন্দের লেহেঙ্গাগুলিকে অ্যাড টু কার্ট করে রাখুন। তাহলে কেনার সময় সবকটি দেখে একটি চূড়ান্ত করে অর্ডার দিতে পারবেন।