২০২০ সালের কোভিড হানার পর থেকে তিন বছর প্রায় বন্ধ ছিল মানুষের মেশামেশি। কার্যত গৃহবন্দি হয়েই ছিল গোটা বিশ্ব। পুজো, পার্বণ থেকে শুরু করে সামাজিক মেলামেশা সবই কেমন যেন থমকে গিয়েছিল। তিন বছর পর মানুষ এবার আগের মেজাজে। যদিও কোভিড হানার পর থেকে এমন মানুষ অনেক বেশি সতর্ক হয়েছেন। বসন্ত উৎসব এমন সময়ই হন যখন রোগ জ্বালা আর ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ থাকে বেশি। এইবছর প্রায় প্রতি পাড়াতেই আয়োজন করা হয়েছে বসন্ত উৎসবের। এছাড়াও বিভিন্ন রিসর্ট, ক্লাবেও এখন আয়োজন করা হয় হোলি পার্টির। আর হাউস পার্টি তো আছেই। জীবন যখন সোশ্যাল মিডিয়া ময় আর ছবিই যেখানে শেষ কথা তখন ছেঁড়া-ফাটা জামা পরে রং খেলার দিন এখন অতীত। বরং সকলেই এখন সুন্দর করে সাজগোজ করে হোলি খেলতে আসেন।
এছাড়াও অনেক জায়গায় হোলি পার্টির বিভিন্ন থিমও থাকে। থিমের সঙ্গে মিলিয়েই সকলে পোশাক নির্বাচন করেন। পার্টির মুড অনুযায়ী কেউ পরেন সাদা আবার কেউ বেছে নেন বাহারি শর্টস। বাঁধনি কিংবা বাটিকের ওড়নার সঙ্গে সাদা সালোয়ার কুর্তি আপ পাজামা-পা়্জাবিই বেশি পরার চল রয়েছে দোলে। এছাড়াও সাদা টি-শার্টের সঙ্গে ডেনিম শর্টস বা অফ হোয়াইট রঙের নি লেন্থ ড্রেস এসবও কিন্তু এখন বেশ চলছে। সেই সঙ্গে চোখে সানগ্লাস আর কানে বড় ঝুমকা থাকলে আরও বেশি স্টাইলিশ লাগে।
বসন্তের রং হলুদ আর সবুজ। এমন দিনে প্রথা মেনে অনেকে তাই হলুদ রঙের শাড়িও পরেন। বাইরের তাপমাত্রা ক্রমশ চড়ছে। আর তাই দোলের জন্য পোশাক কেনার সময় এই ব্যাপারটিও মাথায় রাখুন। যা কিনবেন তা যেন নরম সুতির হয় সেই দিকেও খেয়াল রাখা জরুরি। গড়িয়াহাট থেকে শুরু করে এসপ্ল্যানেড সর্বত্রই মাত্র ২০০ টাকার মধ্যে পেয়ে সাবেন সাদা সুতির কুর্তা। এগুলি একবার পরে ফেলে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ঠ। এছাড়াও অনলাইনে আগে থেকেই বিক্রি হচ্ছেন হোলির টি-শার্ট। পকেট ফ্রেন্ডলি বিভিন্ন টি-শার্ট পেয়ে যাবেন সেখান থেকেও। এছাড়াও গড়িয়াহাট, এসপ্ল্যানেডে ১০০ টাকার থেকেও কম দামে পেয়ে যাবেন হোলি স্পেশ্যাল টি-শার্ট। যেহেতু এই জামা পরে রং খেলবেন তাই শার্ট, টি-শার্ট যাই কিনুন না কেন সেখানে অতিরিক্ত পয়সা খরচ করার কোনও যুক্তি নেই। ২০০ টাকা খরচা করেই করুন মন মাতানো ফ্যাশান।