অভিনয়ে তিনি হঠাৎ করেই এসে পড়েছিলেন, নিজেও কোনও দিন ভাবেননি যে অভিনেত্রী হবে। এরপর টেলিভিশনে একের পর এক মন ছোঁয়া চরিত্র। নিজের অভিনয়ের গুণেই স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছেন দর্শকমনে। কখনও মেঘলা কখনও খড়ি- এই নামেই দর্শক তাঁকে বেশি চেনেন। তিনি শোলাঙ্কি রায়। টেলিভিশন ছাড়াও ওটিটি এবং সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন তিনি। টানা এক বছর ধরে গাঁটছড়া সিরিয়ালে খড়ি চরিত্রে দেখা যাচ্ছিল তাঁকে। সদ্য সিরিয়াল ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন তিনি। কারণ শারীরিক অসুস্থতা। অনেক দিন টানা কাজ করছেন কোনও রকম বিশ্রাম না নিয়ে। তাই তাঁর শরীর অসুস্থ হয়ে পড়েছে। কিছুদিন বিশ্রাম নিয়ে আর নিজের মত করে সময় কাটিয়ে তবেই তিনি ফিরবেন এমনটাই জানিয়েছিলেন সেোশ্যাল মিডিয়ায়। এর মধ্যে পাহাড়ে ঘুরতেও গিয়েছেন। আবারও অভিনয়ে ফিরছেন খড়ি তবে সিরিয়াল নয়। এবার ওটিটি-তেই ফিরতে চান তিনি।
কাজের কথা চলছে। কিছুদিনের মধ্যেই দর্শকের সুখবর দেবেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়াও কাজ করতে চান বড় পর্দায়। এখনই সিরিয়ালে ফেরার কোনও রকম ইচ্ছে নেই তাঁর। শোলাঙ্কির অভিনয় ভীষণ রকম সাবলীল। কখনও মনে হয় না যে তাঁকে কষ্ট করে অভিনয় করতে হচ্ছে। একেবারে সাধারণ ভাবেই কথা বলেন তিনি। এছাড়াও খুব সহজে প্রবেশ করতে পারেন চরিত্রের মধ্যে।
এই সবের মধ্যে দারুণ একটি ফটোশুট সারলেন তিনি। ডিজাইনার ভবাশিষ গঙ্গোপাধ্যায়ের শাড়িতে সাজলেন শোলাঙ্কি। তাঁর ব্রাইডাল কালেকশন থেকে দারুণ একটি বেনারসি বেছে নিলেন শোলাঙ্কি। রুপোলি জরির কম্বিনেশনে এই শাড়িটি দেখতেও খুব সুন্দর। শাড়ির পাড়ের ডিজাইনটিও খুব সুন্দর। শাড়ির পাড়ের কলকা আকাশী রঙের কনট্রাস্টে। সোনার গয়না, কপাল জোড়া কলকা, খোঁপায় বেল ফুলের মোটা মালা, কানে ভারী দুল, হার, ম্যাচিং রঙের ওড়না, প্রজাপ্রতি ডিজাইনের টায়রা-টিকলিতে দারুণ ভাবে সেজেছেন তিনি। শোলাঙ্কিকে সাজিয়েছেন দীপান্বিতা পাল। এত পরিপাটি এবং এত সুন্দর ব্রাইডাল সাজ যে কোনও ভাবেই শোলাঙ্কির থেকে চোখ ফেরানো যাচ্ছে না। সবথেকে বেশি নজর কাড়ছে তাঁর নথ। ট্র্যাডিশন্যাল নথের বাইরে একেবারে অন্যরকম।