‘এই শহর জানে আমার প্রথম সবকিছু
পালাতে চাই যত সে আসে আমার পিছু পিছু…’ জন্ম থেকে যে শহরে বেড়ে ওঠা তার প্রতি একটা নাড়ির টান থেকেই যায়। শত চেষ্টাতেও তাকে এড়ানো যায় না। নিজের শহর ছাড়তে কে আর চায়, কাজের প্রয়োজনে জোর করেই অনেক কিছু মেনে নিতে হয়। তবুও সেই শহরের ঘ্রাণ লেগে থাকে রন্ধ্রে রন্ধ্রে। টেলিভিশন দিয়ে যাত্রা শুরু। এরপর বহু সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন। টলিউডের পর নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন বলিউডেও। একাধিক হিন্দি ওয়েব সিরিজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। তিনি স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। সোজা সাপটা কথা বলার জেরে তাঁকে নিয়ে চর্চা নেহাত কম হয় না। একটা সময় তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও আলোচনা ঠিল তুঙ্গে। ঠাকুরপোদের কাছে তিনি অবশ্য উমা বৌদি নামেই পরিচিত।
স্বস্তিকা তাঁর নিজ অভিনয় গুণেই জায়গা করে নিয়েছেন দর্শকের মনে। এছাড়াও স্বস্তিকার ফ্যাশনও বেশ নজরকাড়া। বরং অন্যদের থেকে তাঁর সাজগোজ অনেকটাই আলাদা। শাড়ি পড়তে খুবই পছন্দ করেন স্বস্তিকা। আর সেই শাড়ি নিয়ে তিনি প্রচুর এক্সপেরিমেন্ট করেন। যেমন করেন তাঁর চুল নিয়ে। বছরের নানা সময়ে নানা রকম হেয়ারকাটে দেখা যায় তাঁকে। প্রতিটি শাড়ির সঙ্গে দেখার মত থাকে স্বস্তিকার ব্লাউজও। সেই ব্লাউজের কাটও কিন্তু একদম অন্যরকম। শাড়ি আর পোশাকের ব্যাপারে স্বস্তিকা চোখ বন্ধ করে ভরসা করেন বন্ধু ‘পরমা’কে। ‘পরমা’র পোশাক ছাড়া তিনি কোথাও যান না। নিজের একাধিক পোস্টে প্রিয় বন্ধু ‘পরমা’কে নিয়ে সুন্দর সুন্দর কথাও লিখেছেন স্বস্তিকা। সময় পেলেই বন্ধুকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন চা-আড্ডায়।
বর্তমানে শহর জুড়ে চলছে তাপপ্রবাহ। এই প্রবল রোদ-গরম থেকে বাঁচতে সকলকেই বাড়ির বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে সরকারের তরফ থেকে। তবুও কাজের প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে তো বেরোতেই হয়। এছাড়াও গরমের দিনে নানা অনুষ্ঠান লেগে থাকে। এমনই তপ্তদহন দিনে সুতির শাড়ি, পরমার ব্লাউজ, খোঁপায় জুঁই এর মালা আর সিঁদুরের টিপে পারফেক্ট সামার কুল লুকে বাড়ির বাইরে বেরোলেন স্বস্তিকা। চোখে কাজল, হালকা মেকআপ, ঠোঁটে লিপস্টিক, সবুজ-সাদা স্লিভলেস ব্লাউজে স্বস্তিকার থেকে চোখ ফেরানো দায়। চোখে চশমা, কানে ঝুমকায় তাঁর ব্যক্তিত্বও সুষ্পষ্ট। বয়স তাঁর কিঞ্চিৎ বেড়েছে। তবুও এমন সুন্দরী সকলেরই মন জুড়িয়ে দেন।