চলছে বিয়েবাড়ির মরশুম। বন্ধু, আত্মীয়দের বিয়ে লেগেই রয়েছে। এছাড়াও জন্মদিন, পার্টি, বিবাহবার্ষিকী নানা অনুষ্ঠান তো লেগেই রয়েছে। আজকাল কাজের চাপে কারোর সঙ্গে তেমন বিশেষ দেখা হয় না। ভরসা এই সব অনুষ্ঠানবাড়ি। আর যে কোনও অনুষ্ঠানবাড়িতে সুন্দর করে সেজে গুজে না গেলে মোটেই ভাল লাগে না। বিয়েবাড়িতে ট্র্যাডিশন্যাল পোশাকেই দেখতে বেশি ভাল লাগে। ইদানিং ছেলেদের মধ্যে যেমন ধুতি পরার চল বেড়েছে তেমনই মেয়েরাও কিন্তু বেশ শাড়ি পরছেন। মেয়েদের জন্য রেডি টু ওয়্যার শাড়ি যেমন পাওয়া যায় তেমনই ছেলেদের পাওয়া যায় ধুতি। কর্তা-গিন্নি দুজনে ম্যাচিং করে পোশাক পরলে দেখতেও কিন্তু বেশ লাগে। এদিকে ম্যাচিং করতে গেলেই শুরু হয়ে যায় তর্ক-বিতর্ক। তবে একবার প্রেমিকা কিংবা স্ত্রী এর কথা শুনে দেখুন। দুজনে মিলিয়ে পেশাক পরলে দেখতে কিন্তু বেশ লাগে।
পোশাকে ট্যুইনিং এখন ট্রেন্ডিং। আর কর্তা-গিন্নির কাপল ম্যাচিংও বেশ চলছে। রিসেপশন বা বিয়ের দিন বর-কনেরা সেই ভাবেই তাঁদের পোশাক বাছাই করেন। বন্ধুর বিয়েতে যখন যাচ্ছেন তখন দুজনে মিলিয়ে সাজুন। এক্ষেত্রে গৌরব-ঋদ্ধিমার ফ্যাশন মেনে চলতে পারেন। বেড়াতে গেলে কিংবা যে কোনও অনুষ্ঠানে গেলে খুব সুন্দর করে পোশাকের ম্যাচিং করেন এই দম্পতি। লাল বেনারসি শাড়ি আর অফ হোয়াইট ধুতির কম্বিনেশন সব সময় হিট। আর তাই বন্ধুর বিয়ের রাতে এমন ট্র্যাডিশন্যাল পোশাক বেছে নিতে পারেন। এছাড়াও এখন নানা রঙের ধুতি পাওয়া যায়। তার সঙ্গে ম্যাচিং করে যে কোনও সিল্ক পরতে পারেন। আবার ছেলেদের পাঞ্জাবির সঙ্গে মেয়েদের সালোয়ার, শারারা-তেও খুব সুন্দর টুইনিং করা যায়। আইবুড়োভাত, মেহেন্দি বা গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে দুজনে মিলে ফিউশন বাছুন। লেহঙ্গার সঙ্গে ছেলেরা টক্সিডো পরতে পারেন। আবার শারার এর সঙ্গে পাঞ্জাবিতেও কিন্তু চমৎকার মানায়। সামনেই রয়েছে হোলি। হোলি পার্টিতেও দুজনে সেজে যেতে পারেন মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ করে।
সব সময় যে প্রচুর মেকআপ করতে হবে এমনটা একেবারেই নয়। বরং হালকা সাজুন। শারারা কিংবা সালোয়ারের সঙ্গে কানে ঝুমকা হলেই কাজ চলে যায়। তবে শাড়ির সঙ্গে জমকালো কিন্তু হালকা সাজই মানানসই। সব সময় পোশাক নিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে যুদ্ধ না করে একবার তাঁর কথা মেনেই চলুন না।