
পুজো থেকে টানা ৩ মাস চলে উৎসব পর্ব। পুজো-পার্বণ এসব লেগেই থাকে। আর মাত্র কয়েকদিন পর দীপাবলি। আলোর উৎসবে সামিল হবেন সকলেই। আলো মনের মধ্যে বয়ে আনে পজিটিভিটির বার্তা। আলো আমাদের মন ভাল থেকে। জীবন থেকে যাবতীয় অন্ধকার দূর করে ভাল থাকাই আমাদের সকলের উদ্দেশ্য। উৎসবের আলো সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারলে তবেই তার স্বার্থকতা। দীপাবলিতে অনেক বাড়িতে যেমন কালীপুজো হয় তেমনই অনেকেই এদিন বাড়িতে গণেশ-লক্ষ্মীর পুজোও করেন। লক্ষ্মী পুজো মানেই চারিদিক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে গৃহলক্ষ্মীর আরাধনা করা। আর তাই এমন দিনে আলো, ফুল দিয়ে যেমন বাড়ি সাজাবেন তেমনই উজ্জ্বল পোশাকে নিজেও সাজুন। সাজলে মন ভাল থাকে। মন থেকেও আপনি থাকবেন খুশ।
দীপাবলিতে ট্র্যাডিশন্যাল শাড়ির পরিবর্তে লেহঙ্গা চোলি, সারারা, ডিজাইনার সাড়ি, জর্জেট, সিক্যুইনের কাজ করা শাড়ি এসবই দেখতে বেশি ভাল লাগে। কমলা, হলুদ, সবুজ, বেগুনি এই সব রঙই বেশি চোখে টানে। শাড়ি, ঘাঘরা যে কোনও পোশাকই এই দিন দেখতে ভাল লাগে। দীপাবলির পরই শুরু হচ্ছে বাঙালির অঘ্রাণ মাস। আঘ্রাণ মানেই এখন টানা চলবে বিয়েবাড়ি পর্ব। সেখানেও তো সাজগোজ করতে হবে। আর তাই রিল বিশেষ কিছু টিপস।
দীপাবলি, বিয়েবাড়ি উপলক্ষ্যে সাজতে চাইলে শপিং শুরু করে দিন আজ থেকেই। এবার পুজোয় সবদিন মিমি চক্রবর্তী দারুণ দারুণ শাড়ি বেছে নিয়েছিলেন। সেখানে ট্র্যাডিশন্যাল শাড়ি যেমন ছিল তেমনই ছিল জরি কাজের শাড়িও। গাঢ় সবুজ রঙের একটি কাঞ্জিভরম পরেছিলেন তিনি। সঙ্গে স্লিভলেস ব্লাউজ। এই পোশাকে দেখতে যেমন ভাল লাগে তেমনই ফুটে ওঠে সৌন্দর্যও। দিন কিংবা রাত যে কোনও সময়ে পরতে পারেন এই শাড়ি। আরেকদিন মিমি পরেছিলেন প্যাস্টেল শেডের টিস্যু শাড়ি। ক্রিম রঙের শাড়ি আর হলুদ রঙের জরির কাজ করা ব্লাউজ দেখতে বেশ লাগছে। রাতে এই রকম শাড়ি পরে পুজোতে বসলে বা প্রদীপ জ্বালালে বেশ লাগে দেখতে। এছাড়াও রানি কালার এখন ফ্যাশানে বেশ ইন। আর তাই এমন রঙের শাড়িও বেছে নিতে পারেন আপনি। বা রানি রঙের সালোয়ার স্যুুটও দেকতে বেশ ভাল লাগে। আলোর েই উৎসবে ঝলমলে যে কোনও পোশাকই কিন্তু সবথেকে বেশি নজর টানে। আর তাই সেই ভাবেই আপনি সাজিয়ে নিন নিজেকে।
শাড়ির সঙ্গে মানানসই গয়নাও পরেছেন মিমি। বরাবরই সোনার গয়না মিমির পছন্দের। তাই সোনার গয়নাই অধিকাংশ দিন পরেছেন মিমি। সঙ্গে অবশ্য অন্য জাঙ্ক জুয়েলারিও রয়েছে। সামনেই ধনতেরাস। তাই পোশাকের সঙ্গে মানানসই গয়নাও অবশ্যই রাখবেন।