পোশাক যদি সাধারণ হয় আর সঙ্গে যদি কানে পরেন কোনও ঝুমকা তাহলে কিন্তু বেশ লাগে দেখতে। আজকাল ঝুমকা দুলই ফ্যাশানে ট্রেন্ডিং। জিন্স, স্কার্ট, শাড়ি সবের সঙ্গেই চলে যায় এই ঝুমকা। এছাড়াও ভারী কানের দুলও কিন্তু অনেকেই পরেছেন। এছাড়াও ক্লাসিক কস্টিউম জুয়েলারি, ট্র্যাডিশন্যাল ওরান্তে ইয়াররিং, চাঁদবালি, ড্যাংলার, ঝুটো মুক্তোর দুল এসবও কিন্তু রয়েছে তালিকায়। পার্টি থেকে বিয়েবাড়ি- সর্বত্রই পরে যেতে পারেন এই সব দুল। আবার আজকাল অনেকেই রোজকার অফিসের পোশাকের সঙ্গেও কিন্তু অনেকে এই ঝোলা দুল পরছেন। প্িরায় সব মুখেই মানায় ঝোলাদুল। যাঁদের মুখের গড়ন গোল কিংবা ডিম্বাকার তাঁদের যেমন ভাল লাগে তেমনই যাঁরা রোগা তাঁরা যদি একটু মন্দির শেপের বা লেয়ার্ড দুল পরেন তাতেও দেখতে বেশ ভাল লাগে। আমজনতা থেকে সিনেস্টার- সবারই ওয়ার্ড্রোবে রয়েছে এই ঝোলা দুল।
কেমন পোশাকের সঙ্গে এই দুল পরবেন
ঝোলা দুল সবচেযে বেশি ভাল লাগে যে কোনও ভারতীয় পোশাকের সঙ্গে। শাড়ি, সালোয়ার, কুর্তি, লেহেঙ্গা, শারারা, কাফতান-এসবের সঙ্গে পরতেই পারেন। তবে ঝোলা দুল পরলে সব সময় কোনও সলিড রঙের শাড়ি পড়বেন। যেমন কালো, সাদা, সবুদ অথবা ওয়াইন- এই সব রঙের সঙ্গে ঝোলা দুল দেখতে বেশ ভাল লাগে। আর দুল যদি বড় বা ঝোলা হয় তাহলে গলায় বা হাতে অন্য কিছু পরবেন না। দেখতে ভাল লাগবে না। ইচ্ছে হলে পরতে পারেন নোজপিনও। হার, বালা এসব এড়িয়ে চলুন। জিন্স বা ক্রপ টপের সঙ্গেও এই ঝোলা দুল পরতে পারেন। পার্টি বা বিয়েবাড়িতে চটজলদি রেডি হওয়ার থাকলে সেখানেও ঝোলা দুল পরলে সাজ অনেকখানি মেকআপ হয়ে যায়। সবার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে ওই দুল।
ঝুমকো দুল কেনার সময় যা কিছু মাথায় রাখবেন-
এখন ঝুমকো দুলও বেশ হালকা পাওয়া যায়। সব সময় যে ভারী দুল কিনতে হবে এমনটা কিন্তু নয়। এতে পরতেও সুবিধে হবে।
মুখের গড়ন গোল হলে লম্বা দুল নয়, ঝুমকোই কিন্তু সবচেয়ে বেশি ভাল লাগে।
লম্বা মুখের গড়ন হলে কানপাশা পরতে পারেন। দেখতে ভাল লাগে। তবে খুব বেশি ঝোলা দুল কিনবেন না। চেইন স্টাইলের দুল কিনবেন। বা ছোট্ট বসা স্টোনের সঙ্গে ঝুমকো। এতে দেখতে ভাল লাগে।
প্যাচহীন দুল কেনার চেষ্টা করুন। এতে কানে ইনফেকশনের সম্ভাবনা কমবে। কান কেটে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকবে কম।
কানে দুল পরার সময় ময়েশ্চারাইজার বা অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম লাগিয়ে পরুন। এতে কানে ব্যথা হবে না।