বাজারে যতই পোশাক থাকুক না কেন শাড়ির কিন্তু কোনও তুলনা নেই। যে ভাবে খুশি শাড়ি পরা যেতে পারে। যে খানে খুশি শাড়ি পরে যাওয়া যায়। আর ভারতীয় মেয়েদের শাড়িতেই কিন্তু সবচাইতে বেশি ভাল লাগে। এখন ভারতের বাইরের বসবাসকারী অনেক মহিলাও কিন্তু শাড়ি পরেন। মেয়েদের সঙ্গে শাড়ির সখ্যতা সেই মুখেভাত থেকে। যদিও এখন অনেক ছেলেই শাড়ি পরেন, ফ্যাশন দুনিয়াতে তাঁরা বেশ নামও করেছেন। বেনারসি শাড়ি মেয়েদের ঐতিহ্য। যে রকমই দাম হোক না কেন মেয়েদের কালেকশনে একটা বেনারসি থাকবেই। সাধারণত বিয়েতে হিন্দু মেয়েরা বেনারসি ররেন। আর এই শাড়িটি তাঁর কাছে স্বপ্নের মত। অন্যদিকে এমন অনেক মেয়ে আছেন যিনি উপহার স্বরূপ তাঁর মা বা দিদিমা-ঠাকুমার বেনারসি শাড়িটি উপহার হিসেবে পেয়েছেন। এ যে কী পরম ধন, একমাত্র যাঁর কাছে থাকে সেই এর মর্ম বোঝে।
প্রতিবছরই মার্কেটে বেশ কিছু শাড়ি রাজস্ব করে। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আর এই শাড়ির তালিকাতে প্রথমেই রয়েছে বেনারসি শাড়ি। বেনারসে বোনা এই শাড়িটির খ্যাতি ভুবনজোড়া। এখন অনেক রকম বেনারসি পাওয়া যায় মার্কেটে। জর্জেট বেনারসি, মখমলি বেনারসি, কাতান বেনারসি- এছাড়াও বেনারসি দিয়ে একাধিক অন্য শাড়িও বোনা হয়েছে। সব মিলিয়ে এই শাড়ি এবছর খুবই হিট বাজারে সেই সঙ্গে পরবর্তী বছরেও মার্কেটে রাজ করবে এই শাড়ি।
টিস্যু শাড়িও এই বছর অনেকে কিনেছেন। পার্টি বা যে কোনও অনুষ্ঠানে এই শাড়ি খুব ভাল লাগে দেখতে। পরের বছরও বাজারে চাহিদা থাকবে এই শাড়ির। একই ভাবে চাহিদা রয়েছে সিক্যুইনের কাজ করা প্যাস্টেল শাড়ির। ল্যাভেন্ডার, মিন্ট গ্রিন, ব্লাশ পিংক, পেল ইয়লো, পিচ- এই সব রং দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। আর এই সব রঙের চাহিদা এই বছরেও কিন্তু রয়েছে। আগামী ২ বছরেও থাকবে। বলিউডের বিভিন্ন ফ্যাশন শোয়েও এবার জনপ্রিয় হয়েছে এই প্যাস্টেল সিক্যুইন শাড়ি।