
বিয়ে নিয়ে সব মেয়েরই অনেক স্বপ্ন থাকে। অনেক রকম পরিকল্পনা থাকে। এখন বিয়ে মানে একটা উৎসব। মোটমুটি ১ বছর ধরে চলতে থাকে সেই প্ল্যানিং। ফটোগ্রাফি, সাজগোজ, খাওয়াদাওয়া, ডেকোরেশন অনেক কিছু থাকে। বিয়ের দিনের শাড়ি নিয়ে সব মেয়েরই একটা স্বপ্ন থাকে। সেই শাড়ির রং কেমন হবে, পাড় কেমন হবে, কেমন ব্লাউজের ডিজাইন হবে, বিয়ের ওড়না, মুকুট সব কিছু নিয়ে থাকে অনেক প্ল্যানিং। সকলেই চান তাঁর নিজের মত করে সাজতে। এখন যেমন প্রচুর ওয়েডিং প্ল্যানার আছেন তেমনই ডিজাইনারও আছেন। যাঁরা ব্লাউজ, ওড়না, শাড়িতে পাড় বসিয়ে ডিজাইনার শাড়ি বানানো এসবও করেন। সেই সঙ্গে এখন কাস্টমাইজড করে কুলো, সিঁদুর কৌটো, শোলার মুকুট এসবও বানানো হয়। বিয়ের দিন প্রতিটা জিনিসের গুরুত্ব রয়েছে।
শাড়ি, ব্লাউজ, ওড়না, গয়না, সাজ, মেহেন্দি, মুকুট- এই সবকিছু যদি সুন্দর না হয় তাহলে দেখতে ভাল লাগে না। যে কারণে শপিং করার সময় এই সবদিকে গুরুত্ব দিতে হবে। সব্যসাচী মানেই নতুনত্বের ছোঁয়া। বলিউডের তাই সব নায়িকারাই বিয়ের পোশাক, সাজগোজে চোখ বন্ধ করে ভরসা করেছেন কলকাতার এই ডিজাইনারকে। পত্রলেখার বিয়েতে সব্যসাচী বিশেষ একটি বার্তা লিখে ওড়নাটি বানিয়ে দিয়েছিলেন। সেখানে লেখা ছিল- ‘আমার পরান ভরা ভালোবাসা আমি তোমায় সমর্পণ করিলাম’। এরপর থেকে প্রচুর বিয়ের কণে তাঁদের ওড়নায় এমন বিশেষ বার্তা লেখান। কেউ লেখেন স্বামীর নাম, কেউ লেখেন- আমারও পরাণ যাহা চায়।
এছাড়াও ওড়নাতে সুন্দর পাড় থাকে, থাকে জরি দিয়ে হ্যান্ড এমব্রয়ডারিও। অনেকে শাড়ির সঙ্গে গোল্ডেন ওড়নাও নেন। তবে বেনারসির রং যেমন হবে তেমন রঙের ওড়না বাছুন। লাল, মেরুন, পিংক রঙের মধ্যে ফারাক রয়েছে। যে কারণে মেরুন শাড়ির সঙ্গে লাল ওড়না একেবারেই ভাল লাগে না। বিয়ের সবকিছুই স্মৃতি। শাড়ি থেকে ওড়না, ব্লাউজ সকলেই যত্ন করে রেখে দেন। ভাল কিছু পেতে হলে পয়সা খরচ হবেই। আর তাই ডিজাইনার ওড়া পেতে হলে খরচা হবে ১২০০-২০০০ পর্যন্ত। এছাড়াও সুন্দর পাড় দেওয়া ওড়নার জন্য পরবে ৭৫০ টাকা। আগে ৫০০ টাকাতেই ওড়না কেনা হয়ে যেত। তবে েখন আর সেই সুযোগ নেই। তবে বড় বাজারে অনেক দোকান আছে যেখানে ৫০০ টাকাতে এখনও ওড়না পাবেন।