
আজকাল কেনাকাটা সারা বছরই চলতে থাকে। আর তাই দামের থেকেও সস্তায় সংখ্যায় বেশি জামাকাপড়ের চাহিদা এখন বেশি। রোজ বাড়ির বাইরে বেরোতে হলে পোশাকের প্রয়োজন। আর সেই পোশাক যাতে আরামদায়ক হয় সেইদিকেও খেয়াল রাখা প্রয়োজন। একটা জামা কিনতেই যদি ৫০০ টাকা বেরিয়ে যায় তাহলে মুশকিল। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের পোশাক সব সময়ই বেশি লাগে। বিশেষত কলেজ পড়ুয়াদের পকেট মানি বাঁচিয়ে ফ্যাশান করতে হয়। ফলে যতটা কম খরচ হয় ততই ভাল। বন্ধুরা দল বেঁধে একসঙ্গে বেরিয়ে শপিং করার মজাটাই কিন্তু আলাদা। বাঙালি বরাবরই দরাদরি করে কিনতে ভালবাসে। একমাত্র ফুটপাথ থেকে শপিং করলেই সেই যুগোর পাওয়া যায়। শুধুমাত্র জামা কিনলেই তো হবে না সঙ্গে মানানসই জিন্স, জুতো, ব্যাগ, কানের দুল এসবও তো চাই।
ব্যান্ডেড পোশাক কোথায় কী পাওয়া যায় তা তো সকলেই জানেন। সব সময় সবার পক্ষে অনলাইনেও কেনাকাটা সম্ভব হয় না। কিন্তু সেই ব্র্যান্ডেড সব জামাও একেবারে সস্তায় পেয়ে যাবেন শহরের এই সব দোকানে। রোজকার ব্যবহারের জন্য আমাদের সবারই টপ, টি-শার্টের প্রয়োজন হয়। আর সেই পছন্দের টি-শার্ট যদি পেয়ে যান ৫০ টাকায়? শুনে অবাক লাগছে! শহরের এই অভিজাত পাড়াতেই রয়েছে এমন দোকানের হদিশ। সারা বিশ্বের মানুষের কাছেই কলকাতার পার্ক স্ট্রিটের একটা অন্যরকম আকর্ষণ রয়েছে। শহরের নামী দামী রেস্তোরাঁ, বার, পাব এবং বেশ কিছু ব্র্যান্ডেড শপ। পার্ক স্ট্রিট মেট্রোর ১ নম্বর গেটের বাইরে রয়েছে এই সস্তায় টি-শার্টের দোকান। ২০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন দারুণ সব টপ। এরপর সোজা চবে যেতে পারেন সদর স্ট্রিটে। এখানকার কিছু দোকানে বেশ সুন্দর সুন্দর জামা পাওয়া যায়। টপ, ড্রেস, কুর্তা, শার্ট সব কিছুর দারুণ কালেকশন এখানে। প্রিন্ট থেকে রং সবই অনবদ্য।
নিউ মার্কেট তো আছেই। এখানে হামেশাই কেনাকাটা হয়। এছাড়াও সস্তায় টপ, প্যান্ট, শর্টসের জন্য একবার আসতেই পারেন বি.কে মার্কেটে। ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৭০০ টাকা , এর চেয়েও কম দামে পেয়ে যাবেন টপ, জামা যা দরকার। এবার একেবারে বে পাড়ায় একটা দোকানের খোঁজ রউল। যে দোকানের খোঁজ অধিকাংশ জানেন না তা হলফ করে বলা যায়। সিটি সেন্টার ২-তে ড্রেসি-তে যান। এখানে ব্র্যান্ডেড টপের দাম শুরু মাত্র ১৯০ টাকা থেকে। এছাড়াও সারা বছর সেল চলে এখানে। থাকে ৫০-৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ও। সব খোঁজ পেয়ে গেলেন, এবার শপিং শুরুর পালা।