সোনার দাম যেভাবে চড়চড়িয়ে বাড়ছে তা মধ্যবিত্তের পকেটে ছ্যাঁকা তো সেই কবেই পড়েছে। এদিকে সোনা ছাড়া বিয়েবাড়ি ভাবতেও যেন কেমন লাগে। কয়েক বছর আগের চিত্রটাও কিন্তু ঠিক এমন ছিল না। মেয়েকে সোনার গয়নায় ভরিয়ে তবেই শ্বশুরবাড়ি পাঠানোর রেওয়াজ ছিল। এমনকী শাশুড়িও ঘুরে ফিরে দেখতেন যে বউমা কী কী গয়না এনেছে। বাড়ির বড়রা মেয়েদের সোনা উপহার দিতেন। এই সোনার গয়না যে কোনও মেয়ের কাছেই একটা সম্পদ। সোনাকে বলা হয় স্ত্রী ধন। একটা সময় এই সোনাই কত পরিবার, সংসার বাঁচিয়ে দিয়েছে। এখনকার মেয়েরা সোনা নিয়ে তেমন উৎসুক নন। সকলেই যে সোনা পরতে ভালবাসেন এমন নয়। বিয়েতে বেছে বেছে পছন্দমতো গয়না বানিয়ে নেয়। তবে গা ভর্তি সোনার গয়না খুব কম মেয়েই পরেন।
সোনার দাম যেভাবে চড়ছে তাতে সমতা বজায় রাখা খুবই কঠিন। আর তাই সকলেই বেছে নিতে চাইছেন এই রকম হালকা সোনার গয়না। এবার বিয়ের দিন জমকালো শাড়ির সঙ্গে খুব সাদামাটা কিছু পরলেও দেখতে ভাল লাগে না। এখন যদিও অনেকেই রুপো, মুক্তোর গয়না পরছেন। তবে বিয়ের দিন সোনার গয়নায় যত ভাল লাগে দেখতে তা অন্য কোনও কিছুতে আসে না। গোল্ড প্লেটেড গয়না এখন খুবই চলছে। আর এর মধ্যে এতরকমের কালেকশন থাকে যে আসল নকলের ফারাক করা মুশকিল। এই সব গয়না যেমন দেখতে ভাল হয় তেমনই নির্ভয়ে তা ব্যবহারও করা যায়। সীতাহার, নেকলেস, লম্বা টানা হার, কানপাশা, ঝুমকো, টায়রা-টিকলি, কোমরবন্ধনী, বাজুবন্ধ, হাতের চওড়া বালা সবই এখন মেয়েরা কিনছেন এই গোল্ড প্লেটেড গয়নার সম্ভার থেকেই।
অনেক দোকানেই এখন পাওয়া যায় এরকম গয়না। দামী সোনার দোকানে যেমন পাবেন তেমনই গড়িয়াহাট, বড় বাজারেও খোঁজ করতে পারেন। পাঁচ হাজারের মধ্যে পেয়ে যাবেন যাবতীয় গয়না। এখবার ঢুঁ মারতে পারেন কালীঘাট মেট্রো স্টেশনের কাছে রাজা বসন্ত রায় রোডে এস এস কালেকশনে। এখানেও প্রচুর রকম গয়না পেয়ে যাবেন। এছাড়াও যেতে পারেন বড়বাজারের জানকি সেন্টারে। এখানে প্রচুর দোকান রয়েছে মন ভরে গয়না কিনতে পারবেন। সেই সঙ্গে শ্রী হরির মতো দোকানও রয়েছে। একবার অনলাইনেও খুঁজতে পারেন। যেমন দরকার ঠিক তেমনটাই পাবেন সেখানে।