আজ নীল ষষ্ঠী। কাল সংক্রান্তি হলেই শেষ চৈত্র মাস। শেষ হবে চৈত্রের কেনাকাটা। গরম আর রোদের যতই ভ্রূকুটি থাক না কেন কেনাকাটায় কোনও খামতি নেই। যতই সারাবছর অনলাইন কেনাকাটা চলুক না কেন এই সময় কেনাকাটার একটা অন্যরকম মজা থাকে। ভিড় আর এই ঠেলাঠেলি ছাড়া বাঙালির শপিং কখনও শে। হয় না। সেই সঙ্গে বাঙালির সুপার স্কিল রয়েছে দরাদরিতে। অনলাইনে তো আর সেই সুযোগ থাকে না। চৈত্র সেলে যে সবচাইতে সস্তায় কাপড় জামা পাওয়া যায় এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ইংরেজি বছরের শুরুতে যতই পাবে হই হুল্লোড় হোক না কেন ব াংলার বছর শুরুর আনন্দ আবার অন্যরকম। একসঙ্গে জলসা, আড্ডা খাওয়া এবং অবশ্যই সাজগোজ।
গরম যেভাবে পড়ছে তাতে সুতির শাড়ি ছাড়া কোনও গতি নেই। সুতির, নরম আরামদায়ক শাড়িতেই হোক নববর্ষের ফ্যাশান। মাসের মাঝে কেনাকাটার কারণে ফাঁকা অ্যাকাউন্ট। এদিকে ইনস্টাগ্রামের স্টোরি, পোস্টের জন্য আলাদা ছবি তো চাই। পকেটে যখন মাত্র ১০০০ তখন হাত মাথাতে। ভাবছেন কী ভাবে হবে নববর্ষের কেত! মুশকিল আসৈনে হাজির আমরা। রইল প্রয়োজনীয় কিছু টিপস। আর এই টিপস মানলেই সকাল, সন্ধ্যে দুরকম ফ্যাশান আপনার আটকায় কে।
দক্ষিণ কলকাতায় থাকেন? তাহলে প্রথমেই শাড়ি কিনে আনুন গড়িয়াহাট কিংবা দক্ষিণাপণ থেকে। মাত্র ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন চোখ ধাঁধানো সব শাড়ি। আর উত্তরে বাড়ি হলে শ্যামবাজার বা হাতিবাগানে একবার ঢুঁ মেরে আসুন। এবার শাড়ির সঙ্গে বেছে নিন ক্রপ টপ, স্প্যাগেটি বা স্লিভলেস ব্লাউজ। কিংবা একটা কালো বা লাল রঙের স্লিভলেস ব্লাউজ দিয়ে দুটো শাড়িও পরতে পারেন। গড়িয়াহাটে ৫০ টাকাতেই পেয়ে যাবেন পছন্দের গয়না। জুতো কিনতে লাগবে মাত্র ২০০ টাকা। ব্যাস, আপনার শপিং কমপ্লিট এবার সুন্দর করে সাজার পালা।
হ্যান্ডলুম শাড়ি আঁচল ছেড়ে পরলেও দেখতে বেশ লাগে। গরমের হাত থেকে চুল বাঁচাতে খোঁপা করে রাখুন। আর তাতে জড়িয়ে দিন জুইঁএর মালা। কিংবা চুল খোলা রাখলে একটা সানগ্লাসেই ফ্যাশান হয়ে যাবে। চোখে থাক কাজল কানে ঝোলা দুল… ব্যাস আর কোনও রকম গয়নার প্রয়োজন নেই। সুতির শাড়ি, স্লিভলেস ব্লাউজ, ঝোলা দুল আর কাজলেই হোক আপনার নববর্ষের সাজ। দেখতে ভাল লাগবে, সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য ভাল ছবি উঠবে আর মন থেকেও থাকবেন সুন্দর।