আগের সপ্তাহ পর্যন্ত মনে হচ্ছিল যে পুজো আসছে আর এখন পুজো এসেই গিয়েছে। দ্বিতীয়ার ভিড় টেক্কা দিয়েছে গত বছরের পঞ্চমীর জনজোয়ারকে। আকাশের এমন হাসিখুশি মুখ দেখেই দল বেঁধে লোকজন বেরিয়ে পড়েছে ঠাকুর দেখতে। দুপুরের পর থেকেই ভিড় মণ্ডপে মণ্ডপে রাত বাড়লে পা রাখার পর্যন্ত অবস্থা থাকছে না। রাস্তায় যানজট, গাড়ি-ঘোড়া খুবই কম। ফলে যাঁদের কাজের প্রয়োজনে এখনও রোজ অফিস যেতে হচ্ছে তাঁরা পড়েছেন অতান্তরে। চারিদিকে যখন আলোর রোশনাই, সকাল থেকেই পাড়া গমগম করছে মাইক বক্সের সৌজন্যে তখন কি আর কাজে মন টেকে! অফিসে চলছে এথনিক ডে। প্রত্যেকে এখন অফিসেও সুন্দর করে সেজে আসছেন। জিনস-ট্রাউজার গেরাজে তুলে এই কয়েকটা দিনই শাড়ি, সালোয়ার, কুর্তা, স্কার্ট এসবই বেশি করে পরেছেন।
শাড়ি বা সালোয়ারে যে কোনও মেয়েকেই যে দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগে এ নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। শাড়ির সঙ্গে অনেকেই স্লিভলেস ব্লাউজ পরতে চান। আর স্লিভলেসে যে কোনও কাউকে দেখতে খুব ভাল লাগে। এই ব্লাউজ খুব সুন্দপ করে পিঠে বসে। আর পছন্দের নায়িকাদের স্লিভলেসে দেখে আরও বেশি করে এই রকম ব্লাউজ পরার ইচ্ছা জাগে।
আর এই স্লিভলেস পরার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখতেই হবে। হাতে খুব বেশি চর্বি থাকলে বা হাত যদি টোনড না হয় তাহলে কিন্তু স্লিভলেস দেখতে ভাল লাগে না। অনেকেরই শারীরিক গঠন অনুসারে শরীরের চাইতে দুই হাত বেশি মোটা হয়। বাহুতে চর্বি বেশি থাকে। এক্ষেত্রে নিয়মিত ভাবে জিম বা শরীরচর্চা করে হাতের সেই মেদ ঝরানোর ব্যবস্থা করতে হবে। নইলে স্লিভলেস পরলে যে দেখতে দৃষ্টিকটু লাগে এমন নয় নিজেরও ঠিক স্বস্তি লাগে না। স্লিভলেসেও অনেক রকম কাট থাকে। আর তাই কেনার আগে বা বানাতে দেওয়ার আগে একবার নিজে দেখে নেবেন যে সেই ব্লাউজে আপনার আত্মবিশ্বাস ঠিকমতো বজায় থাকছে কিনা।
স্লিভলেস কিছু পরার থাকলে অতি অবশ্যই ওয়াক্স করে রাখবেন। নইলে দেখতে ভাল লাগে না। হাতেও সুন্দর করে তেল, ময়েশ্চারাইজার লাগাবেন। এমনিই আবহাওয়া শুকনো হতে শুরু করেছে। আর তাই এই বিষয়গুলির দিকে অবশ্যই নজর রাখবেন।
সবশেষে নিজে কেমন সাজতে চান, কী ভীবে নিজেকে উপস্থাপন করতে চান সেই বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা রাখুন। তাহলে দেখতেও ভাল লাগবে নিঃসন্দেহে।