গরমের দিন মানেই সুতির পোশাক। এই সময়টা অন্য ক্ছু আর ভাবা যায় না। মার্চের প্রথম সপ্তাহেই ঠান্ডার পোশাক আবারও বাক্সবন্দি হয়ে উঠে যায় আলমারির মাথায়। প্রথমদিকে সকালের দিকটায় একটু ঠন্ডা ভাব থাকে। আর তাই ফ্যান চললেও গায়ে একটা পাতলা চাদর থাকবেই। কিন্তু যত দিন গড়ায় ততই কমতে থাকে এই চাদরের প্রয়োজনীয়তা। সেই ঘুরে ফিরে পুরনো আরামের জামার খোঁজ। দোল পেরোলেই শুরু হয়ে যায় চৈত্র সেলের হিড়িক। ফলে তখন পাতলা, আরামদায়ক সুতির কাপড়েরই খোঁজ করতে থাকেন সকলে। বাটিক, বাঁধনি, মলমলের থেকে এমন দিনে আর ভাল কিছুই হয় না। এছাড়াও আমাদের মত গ্রীষ্মপ্রধান আবহাওয়াতে সারাবছরই কিন্তু সুতির পোশাক পরার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এতে ,ত্বক ভাল থাকে। শরীরের কোনও সমস্যাও হয় না। সুতির ফ্যাব্রিক খুবই আরামদায়ক। কিন্তু সেই ফ্যাব্রিকেরও যথাযথ যত্নের প্রয়োজন। কাচা থেকে ভাঁজ করে রাখা, কীভাবে আলমারিতে সযত্নে রাখবেন সুতির পোশাক? রইল টিপস।
*সুতির পোশাক কাচার সময় কিন্তু বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। মাইল্ড বা লিক্যুইড ডিটারজেন্টে কাচতে পারলে খুব ভাল। আছাড় মেরে বা ঘষে কাচবেন না। এতে পোশাক ছিঁড়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও সুতির কাপড় কিন্তু গরম জলে ভিজিয়ে রাখবেন না। কিংবা কেচে ধুয়ে সোজা করে রোদ্দুরে মেলে দেবেন না। তাতে তাড়াতাড়ি পোশাক নষ্ট হয়ে যায়, রং চটে যায়।
*ঠান্ডা জলে সাবান গুলে ৩০ মিনিট জামা ভিজিয়ে রাখুন তারপর কেচে নিন। এছাড়াও সুতির জামা থেকে রং ছাড়ে। আর তাই এ ব্যাপারেও সতর্ক থাকুন। একসঙ্গে ভেজানোর আগে দেখে নিন। তুঁতে, গোলাপী, লাল, হলুদ, নীল এি সব রং জলে দেওয়া মাত্রই রং ছাড়ে। আর সুতির জামা কেচে শুকনোর পর বিশেষ ভাবে মাড় দিয়ে আয়রন করে পরুন। তবেই কিন্তু তা দেখতে ভাল লাগবে।
*সুতির পোশাক কেনার সময়েও সতর্ক থাকুন। সব সময় মাপের থেকে একটু বড় সাইজের কিনবেন। একবার জলে ধুয়ে নিয়ে তবেই তা ব্যবহার করবেন। নইলে পোশাক ছোট হয়ে যেতে পারে। খুব টানটান করে কিন্তু সুতির পোশাক মেলবেন না। এতে তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।
এছাড়াও আরও যা কিছু অবশ্যই মনে রাখবেন-
*সুতির কাপড়ের পোশাক একবার পরেই কাচতে না চান, তবে তাকে রোদে দিতে হবে অবশ্যই। অন্তত এক ঘণ্টা রোদে দেবেন। তাই বলে চড়া রোদে মেলে দেবেন না। ছায়ায় রাখবেন। কোনও ভাবেই ঘাম বসতে দেবেন না। এতে পোশাকে ছত্রাক জন্মায়।
*সুতির পোশাক আলমারির যে তাকে আছে, সেখানে কালোজিরে আর শুকনো লঙ্কা সাদা কাপড়ে পুটুলি বেঁধে দিয়ে রাখুন।
*সুতির পোশাকে ভাঁজে ভাঁজে ঘামের দাগ বসতে পারে, যদি না সঠিক যত্ন নেন। তাই এ ব্যাপারে খেয়াল রাখুন।