বাতাসে বহিসে প্রেম, নয়নে লাগিল নেশা… বসন্ত এসেই গেছে। আকাশ, বাতাস রঙিন, নতুন পাতায় প্রেমের আবহ। ঠান্ডা থেকে হঠাৎ করেই যেন গরম পড়ে গিয়েছে। ঘরে ঘরে সর্দি, কাশি, জ্বর। তবুও রঙের উৎসবে মেতে উঠতে ক্ষতি কোথায়! গত তিন বছর কোভিডের কারণে সকলেই গৃহবন্দি ছিলেন। কোথাও রঙের উৎসবের আয়োজনও তেমন হয়নি। এবছর পাড়ার মোড়ে মোড়ে বসন্ত উৎসব। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে মানুষের রঙিন ছবি। মনের আনন্দে এবার মানুষ রং মেখেছেন। আর তাই টলিুডের তারকারাই বা বাড়িতে বসে থাকবেন কেন! বিভিন্ন ক্লাব, হোটেল এখন ব্যবস্থা রাখে বিশেষ হোলি পার্টির। প্রচুর মানুষ, তারকা সেখানেও যোগদান করেন। দোলে এখন আর কেউ পুরনো, ছেঁড়া জামা পরেন না। ইনস্টাগ্রামের জামানায় সকলেই মত মাতানো ছবি চান। আর তাই সাদা পোশাকেই রং খেলা এখন রীতি হয়ে গিয়েছে। যদিও বসন্তের রং কিন্তু হলুদ।
সাদা-গোলাপি সেলিভলেস কির্তিতে সাজলেন মিমি চক্রবর্তী। সঙ্গে সাদা-পিংক ডোরাকাটা ওড়না। হাতে মাটির থালায় আবির সাজানো। খোলা চুলে সেই সাদা পোশাকেই আবির রাঙা হলেন তিনি। ফ্যাশানিস্তা মিমিকে ভারী চমৎকার লাগছিল এদিনের সাদা কুর্তিতে। শুধু মিমি নন, এদিন সাদা কুর্তিতে দেখা গেল শ্রাবন্তী, সন্দীপ্তাকেও। বাড়ির সাদা টি-শার্টে ছেলে ইউভানের সঙ্গে আবির খেলায় মাতলেন শুভশ্রীও। সম্প্রতি নিজের হেয়ার কাটে পরিবর্তন এনেছেন। আর ছোট চুলের শ্রাবন্তীকেও সাদা কুর্তায় দেখতে বেশ লাগছিল। তবে মিমির সাজের সঙ্গে জমিয়ে পাল্লা দিলেন সন্দীপ্তা। সাদা ফুল হাতা কুর্তি পরেছিলেন সন্দীপ্তা। কানে ঝুমকা আর চুল পনিটেল করে বাঁধা। গালে আলতো করে লাল আবিরের ছোঁয়া। সব মিলিয়ে চোখ ফেরানো যাচ্ছিল না তাঁর থেকে। অন্যদিকে লাল-সাদা শাড়িতে সাজলেন স্বস্তিকা দত্ত। খোলা চুলে তাঁকে লাগছিল ঠিক যেন দেবী প্রতিমা।
একদম অন্যরকম লাগছিল ইশা সাহাকে। বসন্তের রং হলুদ আর তাই ইশা হলুদ রঙের একটি কুর্তি পরেছিলেন। খোলা চুল, কানে অক্সিডাইজের দুল আর সবুজ প্রান্তরে দাঁড়িয়ে দেবদারু গাছের পাতা ছুঁয়ে দেখছেন তিনি। দূর থেকে উঁকি দিচ্ছে হলুদ ফুল। গায়ে আবিরের ছিটেফোঁটা না থাকলেও প্রকৃতির রঙেই যেন সেজে উঠেছিলেন ইশা। স্নিগ্ধ, শান্ত অথচ রঙিন লাগছিল তাঁকে। বসন্তের উচ্ছ্বলতা নেই তবুও যেন উজ্জ্বলের প্রতিমূর্তি ইশা।