তাঁকে নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। সামান্য ছুতোতেই বিতর্ক শুরু হয়ে তা শেষ হয় ধর্মভীরুদের চোখরাঙানিতে। কোনওদিনই ধর্মভীরুদের পাত্তা দেননি তিনি, বরং সব রকম নেগেটিভিটি বাঁচিয়ে চলতে জানেন নুসরত জাহান। নিজের শর্তে বাঁচতে জানেন তিনি। জীবনকে ভালবাসতে জানেন। পুজো, খ্রিসমাস, বড়দিন সবেতেই তিনি অংশ নেন। প্রতিটি উৎসবের আনন্দ সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। ছেলে ঈশানের জন্মের সময়ও তাঁকে নানা কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছিল। ছেলে ঈশানের দেখা অবশ্য এখনও পাননি নুসরতের অনুরাগীরা। তবে মাতৃত্বকালীন যে টুকু ওঝন তাঁর বেড়েছিল কঠোর ডায়েট আর জিম করে তার সবটাই তিনি ঝরিয়ে ফেলেছেন। ওজন ঝরানোর পর আরও বেশি করে ফ্যাশন ফটোশ্যুট করেন নুসরত। নানা রকম ফ্যাশন নিয়ে এক্সপেরিমেন্টও করেন তিনি।
গোলাপি রঙের প্রতি ভালবাসা অনেক মেয়েরই থাকে। সেই ছোট থেকেই তৈরি হয় এই গোলাপি প্রীতি। গোলাপি জামা, গোলাপি জুতো, হেয়ারব্যান্ড, তোয়ালে, চিরুনি, লিপস্টিক, ক্লিপ….এমনকি বাড়ির প্রিয় দেওয়ালের রংও অনেকে গোলাপিতে রাঙান। যে কারণে সমাজ বহুদিন আগেই এই পিংক রঙটিকে সম্পূর্ণ ভাবে মেয়েদের বলে ঘোষণাও করেছে। প্যাস্টেল পিংক শেডের একটি ক্রপটপে ক্যামেরার সামনে দারুণ সব পোজ দিয়েছেন নুসরত। সেই সঙ্গে নজর কাড়ছে নুসরতের স্কোয়্যার পেগ সানগ্লাস। এক হাতে সাদা ব্যান্ডের ঘড়ি আর অন্য চোখে সানগ্লাসে সব মিলিয়ে খুব কুল দেখতে লাগছে তাঁকে। চুলে সুন্দর করে খেজুর বেনি বেঁধেছেন।
মেকআপ একেবারেই হালকা। আজকাল একেবারে ন্যাচরাল মেকআপ লুকেই দেখা মিলছে তাঁর। এই ক্রপ টপের সঙ্গে ম্যাচ করে চোখে সুন্দর করে আই লাইনার পরেছেন। ঠোঁটে পিচ পিংক লিপস্টিক। ক্রপ টপ আর ডেনিম জিন্সে নুসরতকে দেখতে লাগঠে ঠিক বারবি ডলের মতই। আর তাই ক্যাপশনে নিজেও নিজেকে বার্বি ডলই বলেছেন। এই ছবি পোস্ট করতেই কমেন্টে ভালবাসা উগরে দিয়েছে তাঁর ফ্যানেরা। গরমে এমন কুল ক্যাজুয়াল লুকে খুবই সুন্দর লাগছে তাঁকে। শরীরের প্রতিটি গড়নও স্পষ্ট। একজন অবশ্য লিখেছেন, আমার বার্বির থেকে টে়ডি বিারই বেশি পছন্দের।