তাঁদের প্রেম নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই কানাঘুঁষো অনেক কিছুই শোনা যাচ্ছিল। প্রকাশ্যে দেখাও মিলেছিল তাঁদের। তবে প্রেম নিয়ে কখনই তেমন কোনও উচ্চবাচ্য করেননি পরিণীতি-রাঘব। বিনোদন আর রাজনীতি এর আগেও অনেকবার একসঙ্গে মিলেমিশে গিয়েছে। কিছুদিন আগে চারহাত এক হয়েছে স্বরা-ফাহাদের। স্বরার বিবাহ পর্ব মিটতেই শোনা গিয়েছিল শীঘ্রই ছাদনাতলায় বসতে চলেছেন পরিণীতি-রাঘব। আবার এমনও শোনা গিয়েছিল যে চুপিসাড়েই তাঁদের বাগদান হয়ে গিয়েছে। অবশেষে শনিবার বিকেলে নিউ দিল্লির কাপুরথালা হাউসে সম্পন্ন হল বাগদানের অনুষ্ঠান। একে অন্যের হাতে আংটি বদলেই পূর্ণতা পেল পরিণীতি-রাঘবের সম্পর্ক। লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিক্সে পড়াশোনার সূত্রেই তাঁদের আলাপ দুজনের। সেখান থেকেই শুরু প্রেমের। কোনও রূপোলি পর্দার নায়ক নন, সুদর্শন সাংসদকেই মন দিয়েছেন পরিণীতি।
সন্ধ্যের দিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি প্রকাশ পেতেই ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন সকলে। রাঘব-পরিণীতির পছন্দের প্যাস্টেল থিমেই সেজেছিল পুরো আসর। রাঘব আর পরিণীতিকে দেখতেও লাগছিল রূপকথার রাজকন্যা-রাজপুত্রের মত। প্যাস্টেল শেড বরাবরই পছন্দ পরিণীতির। আর মণীশ মালহোত্রার ডিজাইনে সেভাবেই সেজে উঠলে দুজনে। সাধারণত বাগদান পর্বে এতদিন লেহঙ্গা বা শাড়িতেই দেখা গিয়েছে তারকাদের। তবে পরিণীতি ধরা দিলেন একেবারে অন্যভাবে। লেহঙ্গা, শাড়ি এসব বাদ দিয়ে কুর্তা পরলেন তাঁর বিশেষ দিনে। ফুলস্লিভ আইভরি ব্লাশ কুর্তা জুড়ে মুক্তোর কাজ করা। এর সঙ্গে কাশ্মীরী স্টিচ আর মুক্তো খচিত খুব সুন্দর একটি দোপাট্টা নিয়েছেন তিনি। এর সঙ্গে আনকাট স্টোনের টিকলি, কানের দুল আর আংটি এই সব কিছুও ছিল মনীশ মালহোত্রার কালেকশন থেকে। পরিণীতির মেকআপও ছিল খুব সাধারণ। টাচআপ আর চোখে কাজল ছাড়া আর বিশেষ কিছু নেই। ঠোঁটে ন্যুড শেডের লিপস্টিক। পরিণীতির পছন্দমতোই তাঁর জন্য কুর্তাটি ডিজাইন করে দিয়েছিলেন মণীশ।
পরিণীতির সঙ্গে ম্যাচিং করে আইভরি রঙের কুর্তা-পাজাম পরেছিলেন রাঘব চাড্ডা। দুজনের বিশেষ মুহূর্তের প্রতিটি ছবি এতই সুন্দর যে সেখান থেকে চোখ ফেরানো দায়। সুদর্শন রাঘবকে চোখে হারান অনেক মহিলাই। তাই প্রিয় নেতার বাগদানের বিশেষ মুহূর্তের ছবি দেখার জন্য তাঁরাও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন। বোন তিশার বাগদানের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দিদি প্রিয়াঙ্কা চোপড়াও। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অনেক বিশিষ্ট জনেরা। উপস্থিত ছিলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। অনুষ্ঠানের সূচনা হয় শিখ রীতির প্রার্থনা ‘আদ্রস’ দিয়ে। এরপর শুভক্ষণে একে অন্যের হাতে আংটি পরিয়ে প্রেমে শিলমোহর দিলেন পরিণীতি-রাঘব।