
যতই ফ্যাশানে ওয়েস্টার্ন ছোঁয়া লাগুক না কেন শাড়িতেই মেয়েদের সবচেয়ে বেশি ভাল লাগে। যত কায়দায় শাড়ি পরা যায় আর কোনও পোশাক কিন্তু সেই ভাবে পরা যায় না। জিন্স, জ্যাকেট, টপ যে ভাবে খুশি ড্রেপ করা যায় শাড়িকে। ভারতীয় উপমহাদেশে প্রধান সংস্কৃতি তিনটি। হিন্দুস্থানী, কর্ণাটী, পূর্বভারতীয়। যদিও পূর্বভারতীয় সংস্কৃতি অনেকটাই আর্য হিন্দুস্থান আর অনার্য কর্ণাটী সভ্যতার মিশ্রণ। শাড়ি কখনও বাঙালি নারীর সর্বাঙ্গে জড়িয়ে থেকেছে কখনো আবার রাজপুতানী ঘাঘরা হয়ে শোভা পেয়েছে। আবার কখনও মারাঠি কুমারীর ধুতি হিসেবেও পরিহিত হয়েছে। শাড়ির প্রচলন ঠিক কবে হয় তা স্পষ্ট নয়। তেমনই স্পষ্ট নয় শাড়ি শব্দের উৎপত্তি কোন ভাষা থেকে। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী শাড়ি পরার প্রথম প্রচলন শুরু হয় আর্যযুগে। সেই হিসেবে দেখতে গেলে শাড়ি প্রায় ৫৫০০ বছরের পুরনো। সিন্দু সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ থেকে যে চিত্র পাওয়া যায় তাতে শাড়ির মত বস্ত্রখণ্ডের উল্লেখ রয়েছে।
পছন্দের পোশাকের মধ্যে ওয়েস্টার্ন থাকলেও ইদানিং শাড়ি নিয়ে একটু বেশিই এক্সপেরিমেন্ট করছেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার। তাঁর ইন্সটাগ্রাম পেজ জুড়ে ছড়িয়ে আছে অসংখ্যা ফটোশুটের ছবি। আর তার মধ্যে শাড়ি পরা ছবির সংখ্যা তুলনায় অনেকটাই বেশি। ট্র্যাডিশন্যাল শাড়ি তো আছেই সঙ্গে সাড়ি নিয়ে নানা রকম এক্সপেরিমেন্ট করতে ভালবাসেন তিনি। পছন্দের শাড়ির মধ্যে রয়েছে সিল্ক, শিফন আর জর্জেট। শাড়ির সঙ্গে কখনও ব্লেট, কখনও জ্যাকেট আবার কখনও জিন্স- মোটকথা ইন্দো ওয়েস্টার্ন ধাঁচেই শাড়ি পরতে পছন্দ করেন প্রিয়াঙ্কা। আর এভাবে শাড়ি পরলে যে কোনও মেয়েকেই লাগে দারুণ স্টাইলিস্ট। তবে তা ক্যারি করতেও জানতে হয়।
কয়েকদিন আগে করা একটি শাড়ির ফটোশুট থেকে বেশ কিছু ছবি শেয়ার করেছেন প্রিয়াঙ্কা। সব ছবিতেই নিজেকে ভালবাসার লাল রঙে মুড়ে নিয়েছেন। লাল-সাদা সিক্যুইনের কাজ করা বাটিক প্রিন্টের শাড়ির সঙ্গে লাল লেদারের ব্লাইজ পরেছেন প্রিয়াঙ্কা। কানে লাল রিং, হাতে লাল স্টোনের আংটি। সঙ্গে ম্যাচিং করে লাল সানগ্লাস পরেছেন। এত সুন্দর করে সেজে রুক্ষ্ম পাথরের মাজেই পোজ দিলেন নায়িকা। পাথর আর লাল-সাদার এই কম্বিনেশন দেখতেও বেশ ভাল লাগে। জায়গাটি যে নায়িকার বেশ মনে ধরেছে তা ছবি দেকেই বোঝা যায়। এই লুকে প্রিয়াঙ্কাকে বেশ স্মার্টও লাগছে দেখতে। দুপুরের যে কোনও নিমন্ত্রণে এভাবে শাড়িতে নিজেকে সাজাতে পারেন আপনিও।