
পুজোর ঢাকে কাঠি তো কবেই পড়েছে। দুধারে যে দিকে তাকানো যায় মাঠ জুড়ে শুধুই সাদা কাশের মেলা। শিউলিও ফুটতে শুরু করেছে। বাজারে এসে গিয়েছে বহু প্রতীক্ষিত পুজোবার্ষিকীও। সন্ধ্যে হতেই বাজারে ভিড় বাড়ছে। পছন্দের শাড়ি, জামা, সালোয়ারের খোঁজ চলছে অনলাইন থেকে দোকান সর্বত্র। কোথায় সস্তায় শাড়ি পাওয়া যায়, কোন দোকানে স্টাইলিশ ব্লাউজ পাওয়া যায় আবার কোন টেলর সবথেকে ভাল পোশাক বানান এই নিয়েই সকলে ব্যস্ত। আর মোটামুটি এক সপ্তাহ পর থেকে টেলররাও অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দেবেন। তাই পুজোর কেনাকাটা এই বেলা শুরু করে দিন। সেই সঙ্গে হোক সাজগোজের প্ল্যানিংও। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সকলেই এখন ভাল ছবি চান। আর তাই আগে থেকে প্ল্যান করে রাখা জরুরি।
অন্য সব জামাকাপড় থাকলেও পুজোর দিনে মেয়েদের শাড়িতেই যেন বেশি সুন্দর লাগে। শাড়ি, সালোয়ার, কুর্তা এসব পুজোর দিনে দেখতে খুবই ভাল লাগে। পুজোর দিনে রিইউনিয়ন, আড্ডা, খাওয়া-দাওয়া এসব লেগেই থাকে। আর এই অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য অধিকাংশই এথনিক কিছু পরতে চান। শাড়িতেই যে মেয়েদের সবথেকে বেশি ভাল লাগে দেখতে এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে শাড়ির সঙ্গে কেমন ব্লাউজ পরবেন, শাড়ি কী ভাবে পরবেন, কেমন গয়না বাছবেন তা আগে থেকে ঠিক করে রাখুন।
ডিজাইনার শাড়ি, সিক্যুইনের শাড়ি বা শিফন-জর্জেটের শাড়ি পুজোর সকালে দেখতে তেমন ভাল লাগে না। নবমীর সন্ধ্যাতে এমন শাড়ি বাছতেপারেন। তবে পুজোর দিন সকালে সিল্ক বা হ্যান্ডলুমের শাড়িতেই বেশি ভাল লাগে। অথবা পরতে পারেন ঢাকাই জামদানিও। পুজোর দিনে লাল-সাদা কম্বিনেশনের শাড়ি বেশ ভাল লাগে দেখতে। এছাড়াও গোলাপি, রানি বা লালের যে কোনও শেডেও ভাল লাগে দেখতে। খোঁপা করতে পারেন যদি চান। শাড়ির সঙ্গে গয়না পরলে দেখতে খুবই ভাল লাগে। তাই ঝটপট প্ল্যান করে ফেলুন আর সেই মত শাড়ি কিনুন এবারের পুজোয়।