ভাদ্রমাসের জন্মাষ্টমী দিয়ে শুরু পুজো পার্বণের। এরপর রাধাষ্টমী, জিতাষ্টমী আর তারপর মহাষ্টমী। এরপর লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো এসব তো আছেই। পুজো বাঙালির শুধু শ্রেষ্ঠ পার্বণই নয়, আমাদের কাছে পুজো একরকম আবেগ। একটা দশমী কাটতে না কাটতেই পরের বছরের পুজোর জন্য পরিকল্পনা হয়ে যায়। কোন দিন কোথায় আড্ডা হবে, পুজোতে কী কী হবে, প্যান্ডেলের থিম, পোশাক, খাওয়া-দাওয়া, ভোগ সব কিছু নিয়েই প্রস্তুতি চলে। পুজো হল মহামিলন ক্ষেত্র। পৃথিবীর যে প্রান্তে বাঙালিরা রয়েছেন সেখানেই হয় দুর্গাপুজোর আয়োজন। এমন অনেক পরিবার আছে যাদের বেঁচে থাকার ভিত্তিই হল এই পুজো। পুজোতে তাঁদের যে আয় হয় তাই দিয়েই সারাবছর সংসার চলে। পুজো আসা মানেই নতুন পসরা নিয়ে সাজিয়ে বসেন দোকানিরা।
কুমোরটুলিতেও এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে। চলছে প্রস্তুতি। পুজোর জন্য স্পেশ্যাল ফটোশ্যুটও চলছে। কোভিড পরবর্তী সময়ে অনলাইন আর অফলাইন এক্জিবিশন এই দুই বেড়েছে। নিজেদের পছন্দমতো শাড়ি, পাঞ্জাবি, ব্লাউজ, সালোয়ার অনেকেই সেখান থেকে কিনছেন। পুজোর দিনের জন্য অষ্টমী নিয়ে বিশেষ প্ল্যান তো থাকেই তবে ষষ্ঠী আর সপ্তমীতেও থাকে প্রচুর প্ল্যান। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, রিইউনিয়নের জন্য বেশিরভাগই এই দুটি দিন বেছে নেন। পুজোর সময় আড্ডা আর তাই পোশাকের থিমও অবশ্যই এথনিক। যত রকম পোশাক থাকুক না কেন মেয়েদের যে শাড়িতেই সবচেয়ে বেশি সুন্দর লাগে এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
সম্প্রতি অভিনেত্রী অনিন্দিতা বোস তাঁর ইনস্টাগ্রামে দারুণ কিছু ছবি শেয়ার করেছেন। একেবারে লাইট ওয়েটের ট্রান্সপারেন্ট সবুজ রঙের একটি শাড়ি পরেছেন অনিন্দিতা। শাড়ি জুড়ে পদ্ম আর পদ্মপাতা। যা জানান দেয় যে পুজো আসছে। আর আঁচলে এমব্রয়ডারির কাজে হাজির সপরিবারে মা দুর্গা। এই শাড়িতে তাঁকে দেখতে যে অপূর্ব লাগছে এই বিষয়টি নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আবার চাইলে ট্র্যাডিশন্যাল লাল ঢাকাই আর লাল ব্লাউজ দিয়েও পরতে পারেন। পুজোর দিনে সব বয়সের সব মেয়েকেই লাল শাড়িতে দেখতে ভাল লাগে। সায়ন্তী ঘোষ ডিজাইনার স্টুডিয়ো থেকে এই শাড়িটি বেছে নিয়েছেন তিনি। ব্লাউজও তাঁরই তৈরি। এমন লুকে নিজেকে সাজাতে চাইলে খোঁজ করতে পারেন আপনিও।