হিন্দি বা বাংলা সিনেমার প্রেক্ষাপটে বাস্তবের সঙ্গে মিল থাকে অনেকটা। বাস্তবের অনেক ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিনেমা তৈরি হয়েছে, যেগুলি মানুষের মনে জোরে ধাক্কা লেগে যাওয়ার মতো ঘটনা। ২০১২ সালে নরওয়েতে বাঙালি দম্পতির কাছ থেকে সন্তান কেড়ে নেওয়া ও সন্তানকে ফিরে পাওয়ার অদম্য লড়াইয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে সিনেমাটি। সেখানে বাঙালি মা হিসেবে অভিনয় করেছেন রানি মুখোপাধ্যায়।
ভারতীয় অধিবাসী দেবিকা চট্টোপাধ্যায়ের গল্পই বলা হয়েছে এখানে। দুই শিশুকে কাস্টডি পাওয়ার জন্য নরওয়ে সরকারের সঙ্গে লড়াই করতেও দ্বিধা করেননি। সেই ঘটনাই বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছে। ছবির প্রচারে এখন চরম ব্যস্ত ছবির মুখ্য অভিনেত্রী। সম্প্রতি একটি ইভেন্টে যোগ দিতে অসাধারণ একটি শাড়ি পরেছিলেন রানি। ডিজাইনার মাসাবা গুপ্তার সুন্দর কালো শাড়িতে বড় করে হিন্দিতে লেখা ছিল মা। গ্ল্যামারাস শাড়ির সঙ্গে সেক্সি ব্লাউজ পরে রানি যেন তিলোত্তমা হয়ে উঠেছিলেন।
হাউস অফ মাসাবা থেকে এই মা লেখা শাড়িটিতে রানি সত্য়িই অনন্য হয়ে উঠেছিলেন। অনেকদিন পর সিনেমায় ফিরে একেবারে আপদমস্তক বাঙালি বধূর বেশে যেমন ফাটিয়ে অভিনয় করেছেন, তেমনি প্রচারের কাজে একটু অন্যরকমভাবে নিজেকে ফুটিয়ে তুলেছেন। কালো চান্দেরি সিল্ক শাড়িটির বর্ডারে সাদা স্ট্রাইপ থাকলেও আঁচল ছিল একদম আলাদা। গোটা আঁচল জুড়েই বড় করে দেবনাগরিতে লেখা রয়েছে মা। সাদা টাসেল এমব্রয়ডারির কাজ করা এই দেবনাগরির লেখা আরও বেশি করে চোখে লেগেছে। এমন ডিজাইনের শাড়ি বাঙালিদের জীবনে না থাকলেও শাড়ির আঁচল জুড়ে থাকে দেবী দুর্গার মুখ, বাংলার লোককথা, বাংলার সেরা আলপনার নকসা। রানির মতো এমন স্টাইলিশ শাড়ি পেতে চাইলে মাসাবার ওয়েবসাইটে যেতে পারেন। দামটাও বাজেটের মধ্যেই। ভারতীয় মুদ্রায় মাত্র ১৭ হাজার টাকা।
শাড়ির ঝলক নিজের ইন্সটাতেও শেয়ার করেছেন মাসাবাও। তিনি লিখেছেন,’মাঁ’, সবচেয়ে শক্তিশালী একটি শব্দ। শাড়ির ঝলকের মধ্যেই রয়েছে সেক্সি ব্লাউজের লুক। কালো শাড়ির সঙ্গে স্টেটমেন্ট ব্লাউজ বেছে নিয়েছিলেন রানি। সঙ্গে ছিল স্ট্র্যাপি হোল্টার নেক ও কালো রঙের আর্ম ওয়ার্মারের একটি ট্রান্সপারেন্ট স্তর। সাজের মধ্যে কানের দুলে ছিল অক্সিডাইজড জুয়েলারি, কানের দুল, আংটি ও কালো টিপ। বাঙালিয়ানার ছোঁয়ায় রানির লুক ছিল অসাধারণ। চুল ছিল খোলা। গ্ল্যামারাস ও সিম্পল লুকে রানির ফ্যাশন ছিল নজরকাড়া।