আজকাল সারাবছরই মানুষ বেড়াতে যান। কোভিডের পর থেকে সুযোগ আর ছুটি পেলেই ব্যাকপ্যাক করে মানুষ বেড়িয়ে পরেন ঘুরতে। হাতে দু দিন ছুটি থাকলেই হয় পাহাড়, নয় সমুদ্র অথবা জঙ্গল। ঘুরতে গেলে আয়েষ, আরাম তো হবেই তার সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া, ফটোশ্যুট কোনওটাই বাকি থাকে না। পশ্চিমবঙ্গে সারা বছরই গরম। যতই বৃষ্টি হোক না কেন গরম কিছুতেই কমতে চায় না। ভ্যাপসা গরম থেকে বাঁচতে সকলেই ছুটতে চাইছেন পাহাড়ে। ট্রেনের টিকিট না পেলেও ট্রিপ থেমে নেই, বাস অথবা নিজের গাড়ি হাঁকিয়েই মানুষ বেরিয়ে পড়ছেন। আজকাল সকলেই সোশ্যাল মিডিয়াতে খুবই সক্রিয়। কোথাও ঘুরতে গেলে তার সঙ্গে সুন্দর সুন্দর ছবিও তো চাই। পাহাড়ে গেলে একরকম পোশাক থাকে আবার জঙ্গলে-সমুদ্রে গেলে একরকম পোশাক থাকে।
শাড়ি পরতে পছন্দ করলেও কোথাও ঘুরতে বেড়াতে গেলে মেয়েরা সঙ্গে করে হাজারো জামা নিয়ে গেলেও শাড়ি নিয়ে যান না। কারণ শাড়ি পরতে অসুবিধে, ঠিক ভাবে ম্যানেজ করা যায় না ব্যাগে অনেকটা জায়গা লেগে যায়- অনেক রকম অসুবিধে থাকে। আবার অনেকে ঠিক মতো শাড়িও পরতে পারেন না। ঠাকুমা-দিদিমারা শাড়ি ছাড়া অন্য পোশাক পরার কথা ভাবতেও পারতেন না। তবে এখনকার মহিলারা আবার শাড়ি পরে ছুটোছুটিও করতে পারেন না। যদিও এখন অনেকে মিথ ভাঙছেন। ছবির জন্য শাড়ি পরে যেমন সমুদ্রেও নামছেন তেমনই অনেকে পাহাড়েও চড়ছেন। সম্প্রতি শাড়ি আর স্নিকার্স পরেই পাহাড়ে চড়লেন মনামী। সেই ছবিও তিনি শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। দার্জিলিং এর ব্লাসবহুল একটি রিসর্টের সামনে বসে ছবি তুলেছেন তিনি।
হলুদ রঙের বাগড়ু প্রিন্টের একটি হ্যান্ডলুম শাড়ি পরেছেন মনামী। সঙ্গে সাধারণ কালো ছোট হাতা ব্লাউজ। এর সঙ্গে পরেছেন সাদা স্নিকার্স। চুলে বেনী করেছেন, কানে রিং আর কপালে ছোট কালো টিপ। সাধারণ এই সাজে খুব সুন্দর লাগছে মনামীকে। এই সুন্দর শাড়ি পরে শুধু ছবিই তুললেন না চড়লেন পাহাড়েও। হাড়ের সবুজ আর হলুদ শাড়িতে দারুণ উজ্জ্বল লাগছে মনামীকে। ছবি দেখেছেন তো?