Fashion Tips: আলমারিতে বন্দি থেকে ভাঁজে ভাঁজে কাটার আগে পুরনো শাড়ি দিয়েই বানিয়ে ফেলুন ফ্যাশনেবল নয়া পোশাক

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

Nov 13, 2022 | 12:29 PM

Reusing Old Sarees: মায়ের বা দিদা-ঠাকুমার দেওয়া শাড়ির ঐতিহ্য ও কদর কখনও মন থেকে মুছে যায় না। তেমনি নিজের কেনা দামি শাড়ি পুরনো হয়ে গেলে ফেলে দেওয়া যায় না।

Fashion Tips: আলমারিতে বন্দি থেকে ভাঁজে ভাঁজে কাটার আগে পুরনো শাড়ি দিয়েই বানিয়ে ফেলুন ফ্যাশনেবল নয়া পোশাক

Follow Us

বিয়ে বা যে কোনও ঘরোয়া অনুষ্ঠানে ভাল শাড়ি উপহার দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। শুধু উপহার পাওয়া শাড়িই নয়, বহু বছর ধরে আলমারির এক কোণে পড়ে থাকা শাড়িগুলির (Old Sarees) ভিড়ে নতুন পোশাকের জায়গা পেতে দেরি হয়। আলমারিতে বন্দি থাকা দামি-দামি শাড়িগুলির ভাঁজে ভাঁজে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকেই। তাই বলে সেগুলির উপর থেকে মায়া ত্যাগ করাও অসম্ভব। মায়ের বা দিদা-ঠাকুমার দেওয়া শাড়ির ঐতিহ্য (Traditional Outfits) ও কদর কখনও মন থেকে মুছে যায় না। তেমনি নিজের কেনা দামি শাড়ি পুরনো হয়ে গেলেও সেগুলি কাউকে দিয়ে দেওয়া যায় না। তবে এত ভাবনার কিছু নেই। মুসকিল আসান হবে কয়েকটি ছোট টিপসেই (Fashion Tips)। পুরনো ও শখের শাড়িগুলি কখনওই ফেলে রেখে নষ্ট হতে দেওয়া যায় না। বরং সেগুলি নিজের কাছে রেখে দিতে চাইলে একটু অন্যভাবে পদ্ধতি অবল্মবন করতেহবে। রিসাইক্লিংয়ের যুগে ভাবনা ও ফ্যাশনের ধরন অনেকটাই সহজ হয়েছে। যাকে বলে রিপারপাস ফ্যাশন। তাই পুরনো ও ঐতিহ্যপূর্ণ শাড়িগুলিকে নতুন করে পেতে হলে কয়েকটি টিপস মেনে চলতে পারেন।

এথনিক স্যুট

সুন্দর এথনিক আউটফিটের জন্য পুরনো ঐতিহ্যবাহী শাড়ি ব্যবহার করা যেতে পারে। স্ট্রেট কাট, এ লাইন, আনারকলি কুর্তি থেকে লেহেঙ্গা, লং স্কার্ট পর্যন্ত অসাধারণ সব ঐতিহ্যবাহী পোশাক তৈরি করতে একটি পুরনো শাড়িই প্রয়োজন। কাঞ্চিপুরম, বেনারসি, ব্রোকেড, পৈঠানি-সহ দেশি শিল্কের পুরনো শাড়িগুলিকে বেছে রাখতে পারেন। ফ্যাশনের কথা মাথায় রেখে ডিজাইনার এথনিক পোশাকও বানিয়ে নিতে পারেন।

ফ্লারেড স্কার্ট

পুরনো ব্রোকেড বা চান্দেরি সিল্ক শাড়ি যদি আলমারি বহু বছর ধরে পড়ে থাকে, তাহলে সেটি এবার বের করে আনার সময় এসেছে। কম খরচে চোখ ধাঁধানো আউটফিটের জন্য এই ধরনের সিল্ক বেশ কার্যকরী। এছাড়া যেকোনও ভাল লাগা জিনিসের উপর আলাদা মোহ ও মায়া পড়ে যায়। সেই মায়া দূর করে পোশাক বানানোর কৌশল জানলেই হবে কেল্লাফতে। পুরনো দিনের খাঁটি সিল্ক বা নরম সিল্কের শাড়িকে ফ্লারেড স্কার্টে পরিণত করে ফ্যাশনেবল আউটফিট বানিয়ে নিতে পারেন। নিখুঁত ইন্দো-ওয়েস্টার্ন, ফি্উশন স্টাইলকে ফ্লান্ট করতে একটি সাধারণ বা একরঙা টপ বা ফর্মাল শার্টের সঙ্গে টিমআপ করতে পারেন।

টিউনিক বা টপ

ছয় গজের একটি শাড়িকে কেটে সুন্দর দেখতে টিউনিক বা টপ তৈরি করলে সকলের নজরে পড়বেন। বন্ধনী, ইকত, হ্যান্ড ব্লক প্রিন্টট বা আরও নানা ঐতিহ্যবাহী প্যাটার্নের দেশি স্টাইলের শাড়িগুলি কেটে নিজের মাপের ভিন্ন স্টাইলের ও ডিজাইনের টপ বা টিউনিক বা ছোট কুর্তি তৈরি করতে পারেন। বোহেমিয়ান-স্টাইলের টপ বা পোশাক বর্তমানে ট্রেন্ডি আউটফিটের মধ্যে অন্যতম। টাই-ডাই, জিওমেট্রিক্যাল, অ্যাবস্ট্রাক্ট ইত্যাদির মচ আধুনিক প্যাটার্নের কুর্তি বানানোর জন্য পুরনো শাড়ি ব্যবহার করতে পারেন।

প্যাচওয়ার্ক ব্লাউজ

বর্তমানে মিসম্যাচ ফ্যাশন দারুণ বেশ জনপ্রিয়। একরঙা শাড়ির সঙ্গে ম্যাচিং না করে অন্য রঙের বা প্যাচওয়ার্ক ব্লাউজের স্টাইলই এখন ট্রেন্ডি। শাড়ি ও ব্লাউজ নিয়ে যদি এক্সপেরিমেন্ট করতে চান তাহলে বাজার থেকে দামি ফেব্রিক নয়, আলমারির কোণে পড়ে থাকা পুরনো শাড়ি কেটে কেটে টুকরো করে কেটে সুন্দর ডিজাইনের ব্লাউজ তৈরি কর নিতে পারেন।

শাড়ির প্যাটার্ন ও বর্ডার ব্যবহার করতে পারেন। আবার ডিজাইনার বা স্টিচিং এক্সপার্টকে দিয়ে সুন্দর প্যাচওয়ার্ক স্টাইলের টপ বা ব্লাউজ বানিয়ে নিতে পারেন। সাধারণ বা এক রঙা লিনেন , সিল্কের শাড়ি, বেশি কারুকাজ নেই এমন শাড়ির সঙ্গে মিসম্যাচ প্য়াচওয়ার্ক ব্লাউজ পরলে সুন্দর দেখায়।

স্কার্ফ

সুতির, পলিকটন বা লিনেনের মন শাড়ি দিয়ে হালকা, নরম সুন্দর স্কার্ফ তৈরি করতে পারেন। পুরনো লাইটওয়েট প্রিন্টেড শাড়ি যদি থাকে, তাহলে সেগুলি বছরের পর বছর ভাঁজ করে বন্দি করে রাখার দরকার নেই। সবচেয়ে সহজ উপায়ে পুরনো শাড়ি পুনরায় নয়া রুপে নিজের সঙ্গে রাখতে পারবেন। আঁচলের দিকে সেলাই ও প্রিন্টে কাজ সবচেয়ে বেশি থাকে। সেইটুকু কেটে দুধারে স্টিচ করে মনের মত স্কার্ফ বানিয়ে নিতে পারেন।

পোটলি ব্যাগ

বিয়ের অনুষ্ঠানে বা পার্টিতে কী ব্যাগ নেবেন সেই নিয়ে চিন্তার শেষ থাকে না। পোশাকের সঙ্গে ম্যাচিং ব্যাগ কী নেবেন সেই চিন্তা এবার দূর করা পালা। পুরনো শাড়ি দিয়ে সুন্দর সুন্দর ক্ল্যাচ বা পোটলি ব্যাগও তৈরি করা যায়। সবচেয়ে সহজ একটি উপায়ে পুরনো শাড়িকে রিসাইক্লিং করে চিরকালের জন্য নিজের কাছে রেখে দিতে পারেন। ভারী ফেব্রিকের শাড়ি দিয়ে একটি পোটলি বা ক্ল্যাচ ব্যাগ যেকোনও পার্টি, ফেস্টিভ্যাল বা বিয়ের অনুষ্ঠানে সঙ্গী করতে পারেন।

ঘরসজ্জা

কুশন কভার, পর্দা, টেবিল ম্যাট, টেবিলক্লথ বা ওয়াল আর্টের মত সুন্দর ঘর সাজানোর জিনিস যদি নিজের হাতে বানাতে চান , তাহলে পুরনো দিনের শাড়ি পুনরায় ব্যবহার করতে পারেন। পুরনো সিল্ক, সুতির শাড়ি, যেগুলি রঙিন হলেও বেশ নরম হয়, তা দিয়ে আসবাবের উপর কভার হিসেবে বানিয়ে নিতে পারেন।

Next Article