‘কালো’- কেউ বলে জগতের আলো আবার কারোর কাছে কালো মানেই অন্ধকার। ফ্যাশানে কিন্তু সবচেয়ে বেশি চাহিদা এই কালো পোশাকেরই। ১৯২১-২০১০…ফ্যাশান দুনিয়ায় এসেছে বহু পরিবর্তন। সিল্ক, মখমল থেকে সার্টিন- কালো পোশাকে কিন্তু কোনও ভাটা পড়েনি। বরং লিটল ব্ল্যাক ড্রেস নিয়ে- উত্তেজনায় কোনও ভাঁটা পড়েনি। পুরনো ম্যাগাজিন, কফি কাপের মতো ব্ল্যাক ড্রেসও কিন্তু নিলামে উঠেছে। তবে সেই সময়ে লিটল ব্ল্যাক ড্রেস কিন্তু কোনও ডিজাইনাক বা অভিজাত মহিলারা পরতেন না। পরতেন শ্রমজীবী মহিলারা। পরবর্তীতে ইগালিটারিয়ানিজমের (Egalitarianism) প্রতীক হিসেবেও ব্যবহার করা হয়েছিল এই কালো পোশাক। ফ্যাশান অ্যান্টিকোয়ারিয়ান দিদিয়ের লুডট যেমন বলেন, ‘ফ্যাশনের মধ্যুগের অবসানের সঙ্গে সঙ্গে এই কালো পোশাক গ্রহণ করেন অভিজাত শ্রেণির মানুষরাাও’।
কালো পোশাক বরাবরই প্রিয় শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। এর আগেও তাঁকে দেখা গিয়েছে কালো পোশাকে। তবে শ্রাবন্তীর সম্প্রতি ফটোশ্যুট চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছে সকলের। কালো রঙের ফ্লেয়ার্ড গাউনের সঙ্গে স্টোন সেটিং নেকলেস পরেছেন শ্রাবন্তী। কানে লম্বা স্টোনের দুল। চোখে আইশ্যাডো আর পিঙ্ক রঙের লিপস্টিকে এ যেন অচেনা শ্রাবন্তী। হেয়ার স্টাইল গরমের জমন্য একেবারে মানাসই। সামনে লক্স বের করে পেছনে উঁচু করে খোপা করলে গরমের হাত থেকে স্বস্তি পাওয়া যায়।
গাউনের সঙ্গে মানানসই আই-মেকআপও জরুরি। তবেই দেখতে সবচাইতে বেশি ভাল লাগেথ। শ্রাবন্তী এই গাউনের সঙ্গে আইমেকআপেও রেখেছেন চমক। চোখের উপর পাতা জুড়ে লাইনার যেমন পরেননি তেমনই চোখের নীচে শুধুই শ্যাডো দিয়ে এঁকে নিয়েছেন। অতিরিক্ত মেকআপের বাড়বাড়ন্ত নেই। এতে কিন্তু দেখতেও লাগছে অনেক বেশি স্নিগ্ধ। আজকাল অনেকেই অনুষ্ঠান বাড়িতে শাড়ির পরিবর্তে গাউন বেছে নিচ্ছেন। গাউনের সঙ্গে মানানসই গয়না পরাও জরুরি। নইলে অতিরঞ্জিত রাখে। গাউনের সঙ্গে স্টোনের নেকলাইন দেখতে বেশি ভাল লাগে। সেই সঙ্গে স্টোন কিংবা মুক্তোর ছোট টপ পরতে পারেন। যাদের মুখ ভরাট তাঁরা স্টোনের লম্বা দুল পরলেও দেখতে বেশ লাগে।
র্যাম্প থেকে রেড কার্পেট সবতেই কিন্তু কদর রয়েছে এই কালো পোশাকের। তাই কালো বলে এই গরমে এড়িয়ে না গিয়ে শ্রাবন্তীর মত ফ্যাশান করতে পারেন আপনিও। অ্যানিভার্সারি হোক বা সাকসেস পার্টি, কিংবা বার্থ ডে- এই চিরাচরিত কালো পোশাকেই কিন্তু নজর কাড়তে পারেন আপনিও। তবে এক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে স্টাইলিং। কালো এমন একটা রং যার সঙ্গে মেকআপ বা অতিরিক্ত সাজের প্রয়োজন হয় না। সঙ্গে মানানসই গয়না পরলে তবেই খুলবে আভিজাত্য। ফ্যাশান, র্যাম্প শো এবং মডেলিং এর মধ্যে বেশ কিছু ফারাক রয়েছে। বইয়ের পাতা থেকে বাস্তব হয়ে উঠতে কিছু পরিবর্তন তাতে আনতেই হবে। নিজের চোখে দেখে যে পোশাক বা ফ্যাশানে আরাম পাবেন তাই- হোক আপনার স্টাইল স্টেটমেন্ট।