
এবছর রেকর্ড গরম পড়েছে, যা গত ৫ বছরে দেখেনি বঙ্গবাসী। তাপপ্রবাহ চলছে রাজ্যের জেলাগুলিতে। বৈশাখের প্রথম সপ্তাহে নিস্তার নেই এই তাপপ্রবাহের হাত থেকে। এপ্রিল মাসের অর্ধেক যেতে না যেতেই তাপমাত্রা ছুঁয়ে গিয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখনও মে, জুন মাস পড়ে রয়েছে। আপাতত বৃষ্টিপাতের কোনও রকম সম্ভাবনা নেই। বরং গরম আরও বাড়বে এমনই ইঙ্গিত রয়েছে। একসপ্তাহের জন্য স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি দেওয়া হয়েছে। দু দিনের জন্য ছুটি দেওয়া হয়েছে বিকাশ ভবনেও। স্কুল,কলেজে ছুটি মিললেও ছুটি নেই অফিস যাত্রীদের। বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের রোজ এই রোদের মধ্যে অফিস যেতে হচ্ছে। এর হাত থেকে কোনও নিস্তার নেই। আর তাই যতটা সম্ভব রোদ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে। ব্যাগে ছাতা, জল, সানগ্লাস সব সময় রাখুন। এছাড়াও আরামদায়ক পোশাক পরু, যাতে পোশাক ঘাম শুষে নিতে পারে।
গরমের দিনে রোজকার অফিসে পরার জামাকাপড় নিয়ে চিন্তার শেষ থাকে না। এক জামা দ্বিতীয়বার কোনও ভাবেই পরা যায় না। আর গরমের দিনে তা পরা ঠিকও নয়। সব সময় সুতির জামা পরুন, বিশেষত গরমের দিনে। গরমের দিনে রোদে চামড়া লাল হয়ে যাওয়া, অ্যালার্জির সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। সুতির জামা পরলে সেই সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। সুতির কোনও টাইট পোশাক পরবেন না। সুতির কুর্তি, সুতির টপ, ট্রাউজার্স এসব মেয়েদের জন্য খুব ভাল। এছাড়াও সঙ্গে একটা স্কার্ফ রাখুন। সেই স্কার্ফ দিয়ে মাথা ঢাকতে পারেন। আবার মুখ, মাথা খুব ভাল করে জড়িয়ে নিতে পারেন। যদি কোনও স্লিভলেস জামা পরে অফিস যান তাহলে হাতে খুব ভাল করে সানস্ক্রিন মেখে তবেই বেরোন।
এই সময় জিন্স এড়িয়ে যেতে পারলেই ভাল। কারণ জিন্স পরলে ঘাম বেশি হয়। এছাড়াও জিন্স আর ঘামে পা ছড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে এখন লাইট ওয়েটের জিন্স, বয়ফ্রেন্ড জিন্স, জিন্সের ট্রাউজার্স এসবও পাওয়া যায়। গরমে টি-শার্টের কোনও জুড়ি নেই। ছেলে, মেয়ে সকলের জন্যই আরামদায়ক এই টি-শার্ট। পছন্দমতো রাউন্ডশেপ টি-শার্টের সঙ্গে বয়ফ্রেন্ড জিন্স এখন ফ্যাশানে ইন। এছাড়াও ব্যাগি ক্রপ টপও খুব চলছে। গরমে এই সব জামা বেশ আরামদায়ক।
ছেলেদের ক্ষেত্রে অধিকাংশকেই ফর্ম্যাল পরতে হয়। এক্ষেত্রে সবচাইতে ভাল যদি সুতির ফর্ম্যাল শার্ট পরে নিতে পারেন। ঘাম কম হয় আর সুতির জামা বেশ আরামদায়ক। যদি অপশন থাকে তাহলে এই সময় টি-শার্ট, পাঞ্জাবি পরে অফিস যেতে পারেন ছেবেরা। সঙ্গে সানগ্লাস থাকলেই ফ্যাশান হিট।