
চৈত্রের শেষ থেকেই চড়চড়িয়ে বাড়ছে তাপমাত্রা। বৈশাখের প্রথমেই মাত্রাতিরিক্ত গরম গত পাঁচ বছরে দেখেনি বঙ্গবাসী। এবছর কলকাতায় এখনই ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গিয়েছে তাপমাত্রা। জেলায় জেলায় চলছে তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েকদিন আগে পর্যন্তও শুকনো গরম ছিল, এবার গরমের পাশাপাশি ঘামও হচ্ছে ঘুম। বাড়ির বািরে বেরোলেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ খুব প্রয়োজন ছাড়া ১১ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত বাড়ির বাইরে বেরনো যাবে না। আর বেরোলে সঙ্গে সব সময় জল, ছাতা রাখতে হবে। সরাসরি রোদ লাগানো যাবে না সেই সঙ্গে ঘেমে নিয়ে ঠান্ডা কিছু খেলেও চলবে না। সুতির আরামদায়ক পোশাক পরুন। লাল, কালো, ঘন নীল- এসব রং এই গরমে এড়িয়ে চলুন।
এদিকে গরম বেড়েছে বলে তো আর বিয়েবাড়ি থেমে থাকবে না। বৈশাখ পড়তে না পড়তেই শুরু হয়েছে বিয়ের সিজন। বন্ধু, আত্মীয়ের বিয়ে তো লেগেই থাকে। গরমে সেজেগুজে বিয়েবাড়ি যাওয়া খুবই কষ্টের। সেই সঙ্গে খেতেও ইচ্ছে করে না। গরম বলে তো আর বন্ধুর বিয়ে মিস করা যায় না। সেজেগুজেও যেতে হবে। রইল কিছু Cool Fashion Tips । এমন পোশাকে দেখতে যেমন ভাল লাগবে তেমনই আরামও লাগে।
এখন হ্যান্ডলুম শাড়ি, কটন শাড়ি, লাইট ওয়েটের বেনারসি শাড়ি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। আর গরমের দিনে এমন শাড়িতে দেখতেও খুব ভাল লাগে। শাড়ি যেমনই হোক না কেন চুলে খোঁপা বেঁধে কিন্তু জুঁই এর মালা দিতেই হবে। লাল-সাদা হ্যান্ডলুমের শাড়ি আর ডিপ কাটের লাল ব্লাউজে সাজতে পারেন। সেই সঙ্গে পরে নিন গোল্ডেন গয়না। এর সঙ্গে খোঁপা করে জুঁই এর মালা দিলেই সাজ কমপ্লিট। গরমের সন্ধ্যায় পরার জন্য লাল বেনারসিও বাছতে পারেন। একই সঙ্গে সাবেকি ভাবে সাজলে দেখতে কিন্তু বেশ লাগে। আবার আর্ট সিল্ক বা কোনও ডিজাইনার শাড়ি বাছতে পারেন। এর সঙ্গে স্লিভলেস বা ডিজাইনার ব্লাউজ পরুন। সঙ্গে প্রয়োজনীয় গয়না পরুন। যত ছিমছাম গয়না পরা যায় ততই ভাল। গরমে কুল ফ্যাশান তবে তখনই যখন খোঁপা করে জড়িয়ে নেবেন পছন্দসই ফুলের মালা।