আকাশে-বাতাসে বইছে প্রেমের কাব্য, চলছে ভালবাসার সপ্তাহ। আর তাই ভালবাসা এখন শহরের আনাচ-কানাচে। টেডি ডে, গোলাপ ডে, চকোলেট ডে নিয়ে এবছর তেমন উন্মাদনা দেখা না দিলেও প্রেম তো আর পুরনো হয় না। এদিকে উিকেন্ডও শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই সোম-মঙ্গলবারে অফিসের ব্যস্ততার মধ্যে সময় কষ্ট করে বের করাটা খুব মুশকিলের। এদিকে প্রেম দিবসে প্রিয়তমার জন্য যদি কোনও উদযাপনের আয়োজন না করতে পারেন তাহলে তিনিও গোঁসা করবেন। অতএব উপায়? তাই আগে ভাগেই করে নিন উদযাপন। দুজনে একসঙ্গে একরাত কোথাও কোনও রিসর্টে কাটিয়ে আসতে পারেন, যেতে পারেন লং ড্রাইভে নইলে একদিনের জন্য কোথাও ট্রিপও করে আসতে পারেন। এতে মন ভাল থাকবে, শরীরও থাকবে ভাল।
ভ্যালেন্টাইন্স ডে- বিশেষ এই দিনটির উন্মাদনা বয়সের সঙ্গে বদলে গেলেও অনুভূতি কিন্তু একই রকম আছে। প্রিয়তম মানুষটির সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে সকলেই চান। রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়া, ঘুরতে যাওয়া, সাজগোজ…ব্যাস। অফিস কিংবা কাজের চাপের জন্য অন্য সব দিনগুলোতে সাজগোজের তেমন সুযোগ থাকে না। এমন ছোটখাটো অনুষ্ঠানে বর কিংবা বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে সেজে গুজে ঘুরতে গেলে দেখতে বেশ লাগে. সুন্দর করে মেকআপ করলে মনও থাকে ভাল। তাই ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তেও নিজেকে সাজিয়ে নিন সুন্দর করে। যে পোশাকে নিজেকে দেখতে ভাল লাগে তাই পরুন। অনেকেই ভাবেন ভালবাসার দিনে ভালবাসার লাল রঙেই নিজেকে সাজিয়ে নেবেন। এদিন রাস্তায় যত কপোত-কপোতী দেখা যায় তার মধ্যে অধিকাংশ মেয়েকেই দেখা য়ায় লাল পোশাকে। লাল শাড়ি, লাল ড্রেস দেখতে যে খারাপ লাগে তা একেবারেই নয়। তবে এমন কিছু পোশাক পরবে না যাতে নিজের অস্বস্তি হয়।
বসন্তে রঙিন পোশাকের কোনও তুলনা নেই। লাল, সবুজ, গোলাপি, আকাশি এমন রং দেখতে বেশ লাগে। যদি ইন্ডিয়ান পছন্দ হয় তাহলে মনোক্রোম্যাটিক স্ট্রেইট কুর্তা আর সিগারেট প্যান্ট পরতে পারেন। পছন্দের জিন্স-টপ পরতে পারেন। এছাড়াও ড্রেস তো আছেই। আর যদি শাড়ি-পাঞ্জাবিতে সাজতে চান তাহলে তাও পারেন। তবে এমন কোনও কিছু পরবেন না যাতে নিজের অস্বস্তি হয়। যে পোশাক আরামদায়ক, যে পোশাকে নিজের ব্যক্তিত্ব বজায় থাকে সেরকমই কোনও পোশাক পরুন।