আমাদের রাজ্যে শীতের স্থায়িত্ব বড়ই কম। আলমারি ভর্তি সোয়েটার, জ্যাকেট থাকলেও পরার সুযোগ কই! সবে শহরে ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে। যদিও শহরতলিতে বেশ জাঁকিয়েই ঠান্ডা পড়েছে। তাপমাত্রার পারদ আরও একটু নামতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। শীতের খোঁজে তাই ইতি-উতুি পাড়ি জমিয়েছেন মানুষ। উত্তরবঙ্গে তাপমাত্রা বেশ নেমেছে। সিকিম, দার্জিলিং, কার্সিয়াং এর বেশ কিছু জায়গায় তুষারপাতও হয়েছে। সেই খবর পেয়ে আরও বেশি পর্যটক পাড়ি দিয়েছেন। শীতে প্রতিবারই প্রচুর সংখ্যক মানুষ এদিক-ওদিক ঘুকতে যান। এছাড়াও শীত মানেই মেলার মরশুম। সঙ্গে পার্টি-পিকনিক এসব তো লেগেই থাকে। শীতের অনুষ্ঠান-কনসার্টে যাবেন আর কেতা মেরে যাবেন না তা তো আর হয় না। তাই বেছে নিন সুন্দর একটা জ্যাকেট।
জ্যাকেটে যেমন দেখতে স্মার্ট লাগে তেমনই সুন্দর ফ্যাশন করা যায়। আজ থেকে ১৫ বছর আগেও জ্যাকেটের এত রকরমা ছিল না। তখন কার্ডিগান বেশি প্রচলিত ছিল। বর্তমানে লং কোট, জ্যাকেট এসবই বেশি চলছে। জ্যাকেট একসময় খুব দামী বলেই ধরা হত। বিশেষত লেদার আর জিনসের জ্যাকেট। ফ্যাশনে ডেনিম জ্যাকেট অনেক দিন ধরেই রয়েছে। আর এই জ্যাকেট যে দেখতেও বেশ লাগে তা নিয়ে সন্দেহ নেই। দামের জন্য অনেকে পিছিয়ে আসতেন। তবে এখন অনলাইন শপিং এর দৌলতে সেই জ্যাকেট অনেক সহজলভ্য হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন জ্যাকেট নিয়ে অনেক রকম এক্সপেরিমেন্টও চলছে। পমপম, এমব্রয়ডারি বিভিন্ন জিনিসের উপর এক্সপেরিমেন্ট চলছে ডেনিমে। ডেনিমের জ্যাকেটে সুতো, মিরর ওয়ার্ক এসব এখন খুবই ট্রেন্ডিং। কখনও প্যাচওয়ার্ক, কখনও বানজারা স্টাইল জ্যাকেটেও এসেছে অনেক রকম পরিবর্তন।
সাধারণত ডেনিম জ্যাকেট ৫০০ টাকা থেকেই পাওয়া যায়। তবে এমব্রয়ডারি করা এই সব জ্যাকেটের দাম পড়ে ১৫০০-২০০০ এর মত। বিভিন্ন অনলাইন স্টোর্সে পেয়ে যাবেন এই সব জ্যাকেট। এছাড়াও খোঁজ করতে পারেন বিশেষ কোনও দোকানে। তবে হোয়াইট টপ, এই এমব্রয়ডারি করা জ্যাকেট আর মাথায় উলের ব্যান্ডানাতে দারুণ একটা কুল লুক আসে। সঙ্গে দেখতেও লাগে দারুণ ফ্যাশনেবল।