দেখতে দেখতে বছর শেষের দিকে। আর শেষ মাসের শেষ এই কয়েকটা দিন সকলেই রিল্যাক্স করে কাটান। এই সময় আবহাওয়া ভাল থাকে, ফলে ঘুরে-বেড়াতে বেশ লাগে। সেই সঙ্গে হরেক রকম খাবারও খাওয়ার সুযোগ থাকে। এই সময় চারিদিকে মেলা, এক্সিবিশন এসবও চলে। ফলে কটা দিন হাসি-ছাট্টা-মজা-খাওয়া-দাওয়াতে কেটে যায়। ডিসেম্বর মানেই পিকনিকের মরশুম। যাঁরা পিকনিকে যেতে পারেননি তাঁদের মধ্যে অনেকেই বেরিয়ে পড়েছেন ওয়ান ডে আউটিং-এ। কোথাও তিল ধারণের জায়গা পর্যন্ত নেই। প্রচুর মানুষ এই শীতে বিদেশ থেকে বাড়ি ফেরেন। ফলে সবাই মিলে রিইউনিয়ন-আড্ডার একটা জমজমাট প্ল্যান থাকে। এবছর বর্ষশেষ পড়েছে রবিবারে। ফলে শুক্রবার থেকেই ছুটির মেজাজ। আর তাই রবিবার জমজমাট পার্টি তো হবেই।
তবে এবার কলকাতায় তেমন ঠান্ডা নেই। পশ্চিমী ঝঞ্জার জন্য এমনই আকাশের অবস্থা যে সারাদিন আকাশ মেঘলা। রোদের তেমন জোর নেই। ফলে জামাকাপড় শুকোচ্ছে না। আর আকাশ পরিষ্কার না থাকার কারণে রোদ তেমন উঠছে না ফলে গরম বেশি। কলকাতার অবস্থা এমন যে ফ্যান পর্যন্ত চালাতে হচ্ছে। আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত এরকমই আবহাওয়া থাকবে, ফলে শীত পড়ার তেমন সুযোগ নেই। তাই মোটা জ্যাকেট, গরম জামা বা ট্রেঞ্চ কোট এসব পরার প্ল্যান থেকে বিরত থাকুন। এবার পার্টি মানেই নাচ-গান এসব লেগেই থাকবে। সঙ্গে খানা পিনা তো আছেই। আর তাই এমন কিছু বাছুন যে পোশাকে আপনি নিজে আরাম পাবেন। বর্ষবরণের আড্ডা চলে রাতভর। আবার ১ জানুয়ারি অধিকাংশের ছুটি থাকে, ফলে এই দিনটা সকলেই একটু দেরিতে ঘুম থেকে ওঠেন।
পার্টি মানেই সেখানে ঝকমকে আলো থাকবেই। পানীয়, উত্তেজনা, সেলিব্রেশন এই সবের মধ্যে থাকলে ঠান্ডা তো লাগেই না উল্টে গরম লাগে। সাধ্যের মধ্যে এখন ডিজাইনার পোশাক পাওয়া যায় শহরের অনেক জায়গাতে। আবার অনলাইনেও পেয়ে যাবেন। ডিজাইনার শাড়ি, ড্রেস, গাউন, স্কার্ট, কো-অর্ড সেট যা খুশি পরতে পারেন। এমন পোশাক পরুন যাতে নিজে আরাম পান সেই সঙ্গে পার্টিও উপভোগ করতে পারেন। পছন্দের পোশাকে ফটোশ্যুট তো হবেই তবে তাই বলে এমন কিছু পরবেন না যাতে ওদিকেই মন পড়ে থাকে। তাহলে কিন্তু আর পার্টি উপভোগ করতে পারবেন না