
গরমে ত্বকের যত্ন একটু বেশিই নিতে হয়। প্রসাধনী বাছতে হয় বুঝে-শুনে। অয়েল-ফ্রি, ওয়াটার প্রুফ স্কিন কেয়ার প্রডাক্ট বা মেকআপ পণ্যই ব্যবহার করতে হয় গরমে। তাতেও প্রতিরোধ করা যায় না তেলকে। তৈলাক্ত ত্বক হলে নাকানি-চোবানি খেতে হয় মুখের তেলকে প্রতিরোধ করতে। কিন্তু অনেক সময় স্বাভাবিক বা নরম্যাল ত্বক হয়েও তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যায় ভুগতে হয়। অয়েল কন্ট্রোল প্রসাধনী ব্যবহার করেও ফল মেলে না। এমনকি বার বার মুখ ধোয়ার পরও ফিরে আসে তেলতেলে ভাব। কিন্তু কেন এমন হয়? আর কীভাবেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে?
রোমের গোড়ায় সেবাসিয়াস গ্ল্যান্ড থেকে সেবাম উৎপন্ন হয়। যত বেশি সেবাম উৎপন্ন হয়, ত্বক তত বেশি তৈলাক্ত হয়ে পড়ে। রোমকূপের মুখ যদি খোলা থাকে, সেখানে অয়েলি স্কিনের সমস্যা বাড়ে। অয়েল কন্ট্রোল প্রসাধনীগুলো এই সেবাম উৎপাদনকেই নিয়ন্ত্রণ করে। আবার ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্যও সেবাম জরুরি। তাই সবসময় এই প্রাকৃতিক তেলকে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত নয়। বরং, ত্বকে এই সেবাম উৎপাদনকে স্বাভাবিকভাবে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন তা জানা দরকার।
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: শারীরবৃত্তীয় কাজের জন্য হরমোন জরুরি। কিন্তু দেহে যদি পুরুষ হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়, তখনই ত্বকে সেবাম উৎপাদনের পরিমাণ বেড়ে যায়। যে কারণে ঋতুস্রাবের আগে ও পরে, প্রেগন্যান্সিতে ত্বকে তেলতেলে ভাব বাড়ে। এই অবস্থাকে কোনওভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।
ভাজাভুজি খাবার: ফুড অ্যাপের দরুন যখন-যখন ফাস্ট ফুড খাওয়া যায়। যত বেশি ভাজাভুজি, ফাস্ট ফুড খাবার খাবেন, সেবাম উৎপাদন বাড়ে। ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে দূরে থাকুন। শাকসবজি, ফল, দানাশস্যের উপর জোর দিন।
ঘুমের অভাব: ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে চাইলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম জরুরি। ঘুমের অভাবে দেহে ইনসুলিন হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এর জেরেও সেবামের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। তাই রাতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরি।
মানসিক চাপ: মাথার ভিতর দুশ্চিন্তা চলছে। তার ছাপ মুখের উপরও পড়ে। অত্যধিক মানসিক চাপের জেরে দেহে কর্টিসল হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এই হরমোনও আপনার সৌন্দর্য কেড়ে নিতে পারে। বাড়িয়ে দিতে পারে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব।
সঠিক প্রসাধনী: যতই অয়েল কন্ট্রোল প্রসাধনী ব্যবহার করুন না কেন, সেগুলো আপনার ত্বকের জন্য আদর্শ কি না, তা জানা দরকার। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব নিয়ন্ত্রণে এবং ব্রণর সমস্যা দূর করতে স্যালিসিলিক অ্যাসিড, রেটিনল এবং নায়াসিনামাইড অ্যাসিডযুক্ত প্রসাধনী দুর্দান্ত কাজ করে।