তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। রোদে বেরোলে ত্বক ঝলসে যাচ্ছে। ঘামেও বাড়বে ত্বকের উপর চিটচিটে ভাব। তার সঙ্গে রয়েছে অস্বস্তি। তাপপ্রবাহের হাত থেকে শরীরকে সুরক্ষিত রাখতে প্রচুর পরিমাণে জল খাচ্ছেন। ডায়েটে হালকা খাবার রাখছেন। এমন খাবার খাচ্ছেন যা শরীরকে ঠান্ডা রাখেও। তার পরেও ত্বকের সমস্যা কিন্তু পিছু ছাড়ছে না। ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি, ঘাম, ডিহাইড্রেশন, তাপ সবই ত্বকের উপর প্রভাব ফেলে। এই গরমে ত্বকের খেয়াল কীভাবে রাখবেন, দেখে নিন।
সানস্ক্রিন ছাড়া গতি নেই: বাইরে বেরোন বা ঘরে থাকুন, সকালে সানস্ক্রিন মাখতেই হবে। সানস্ক্রিন ত্বককে ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মির হাত থেকে সুরক্ষিত রাখে। অকাল বার্ধক্য, আনইভেন স্কিন টোন, হাইপারপিগমেন্টেশন ও স্কিন ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। মুখের পাশাপাশি দেহের যে সব অংশ (হাত-পা, গলা-ঘাড়) সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসে সেখানেও সানস্ক্রিন মাখুন।
হাইড্রেটেড থাকুন: এই গরমে শরীরকে সুস্থ রাখতে চাইলে হাইড্রেটেড থাকা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। দিনে ৮ গ্লাস জল পান করুন। শরীর হাইড্রেটেড থাকলে ত্বকও ভাল থাকবে। পাশাপাশি চা-কফি, মদ্যপান এড়িয়ে চলুন। এগুলো ত্বকের ক্ষতি করে এবং শরীরকে ডিহাইড্রেটেড করে তোলে।
ত্বককে ঠান্ডা রাখুন: দিনে দু’বার ঠান্ডা জলে স্নান করুন। তাপের হাত থেকে ত্বককে বাঁচাতে কোনও ক্ষতিকারক পণ্য ত্বকের উপর ব্যবহার করবেন না। যখনই ত্বকে অস্বস্তি অনুভব হবে, ঠান্ডা জলের ছিটে দিন। ফেস মিস্ট বা টোনারও স্প্রে করতে পারেন।
ময়েশ্চারাইজার জরুরি: যতই ঘাম হোক, রোজ ময়েশ্চারাইজার মাখা দরকার। প্রয়োজনে হালকা ও অয়েল-ফ্রি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে এবং একাধিক ত্বকের সমস্যা কমাতে পারবেন।
ঠোঁটের খেয়াল রাখুন: গরমেও ঠোঁটের চারপাশ শুকিয়ে যায়। ঠোঁট ফাটে। এই অবস্থায় এসপিএফ যুক্ত লিপ বাম ব্যবহার করুন।
সঠিক স্কিন কেয়ার পণ্য ব্যবহার করুন: হিট ওয়েভের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য সঠিক প্রডাক্ট ব্যবহার করা জরুরি। এক্ষেত্রে এমন পণ্য বেছে নিন যার মধ্যে অ্যালোভেরা, শসা, মেন্থলের মতো উপাদান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে কুলিং উপাদান রয়েছে, যা ত্বকে সতেজতা আনে।
এক্সফোলিয়েশন কমান: ত্বকের উপরিতল থেকে মৃত কোষের স্তর পরিষ্কার করতে এক্সফোলিয়েশন জরুরি। কিন্তু খুব বেশি ত্বক এক্সফোলিয়েট করবেন না। এতে ত্বক সংবেদনশীল হয়ে উঠবে এবং রোদে সংস্পর্শে এলেই সমস্যা বাড়বে। প্রয়োজনে হালকা স্ক্রাব ব্যবহার করুন।
পোশাকে বদল আনুন: এই গরমে আঁটসাঁট পোশাক পরবেন না। হালকা রঙের সুতির পাতলা পোশাক পরুন। এতে অক্সিজেন নিতে পারবে। ঘাম হলেও ত্বকে অস্বস্তি তৈরি হয়ে যাবে। পাশাপাশি র্যাশের সমস্যাও কমাতে পারবেন।