পুজোর আগে ভুঁড়ি কমানোর জন্য কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন? ডায়েট থেকে ওয়ার্কআউট সবই করছেন নিয়ম মেনে। পছন্দের খাবার ছাড়তে হয়েছে। তার সঙ্গে অলস জীবন ছেড়ে ঘাম ছড়াতে হচ্ছে জিমে গিয়ে। কিন্তু তাতেও ওজন মেশিনের কাঁটা এক চুল সরছে না। উল্টে সারাদিন ধরে ক্লান্তি। এমনটা আপনার ডায়েটের ভুলের কারণে হতে পারে। ওজন কমানোর জন্য দিনের শুরু কী খাচ্ছেন, তা ভীষণ জরুরি। অনেকে মেদ ঝরাতে গিয়ে ব্রেকফাস্ট খাওয়াই বন্ধ করে দেন, মারাত্মক ভুল করেন কিন্তু। বরং, ব্রেকফাস্টে সবসময় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখা জরুরি। সকালবেলা জলখাবারে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে সারাদিনের কাজে ক্লান্তিভাব আসবে না। পাশাপাশি এটি দীর্ঘক্ষণ আপনার পেটকে ভর্তি রাখবে এবং আপনি মুখরোচক খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকবেন। সকালবেলা জলখাবার খাওয়ার একটু তাড়া থাকে। সব কাজ সামলে যে কাজে বেরোতে হয়। তাই জলখাবার যাতে সহজেই বানানো যায়, এমন টিপস দরকার। তাই আমরা প্রোটিনে ভরপুর ৩টি খাবারের সন্ধান নিয়ে এসেছি, তৈরি করতে কম সময় লাগে।
ডিম ভুর্জি: ফ্রাই প্যানে অল্প মাখন গরম করুন। এতে পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচা লঙ্কা কুচি ভেজে নিন। তারপর এতে টমেটো কুচি দিয়ে দু’মিনিট ভেজে নিন। এরপর এতে হলুদ গুঁড়ো, কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো, ধনে-জিরে গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে ভাজতে থাকুন। এরপর এতে ধনে পাতা কুচি দিয়ে দিন। টমেটো গলে গেলে এতে ২টো ডিম ফাটিয়ে দিন। ভাল করে ভেজে নিন। তৈরি ডিম ভুর্জি।
মুগ ডালের ধোসা: চাল ও ডাল আলাদা করে ১০-১২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে চাল ও ডাল অল্প নুন দিয়ে বেটে নিন। অল্প জল মিশিয়ে নেবেন। ধোসা ব্যাটার বানিয়ে ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। তারপর প্যানে তেল ব্র্যাশ করুন। এরপর ধোসার ব্যাটার ছড়িয়ে দিন। ভাল করে ভেজে নিন। মাঝে পুর দিতেও পারে আবার নাও দিতে পারেন। মুগ ডালের ধোসা নারকেলের চাটনি ও সাম্বার দিয়ে খেতে পারেন।
ছাতুর পরোটা: ছাতুর সঙ্গে পেঁয়াজ-লঙ্কা কুচি, জোয়ান ও নুন ভাল করে মিশিয়ে দিন। অল্প জল ও সর্ষের তেল দিয়ে শক্ত ডো বানিয়ে নিন। আটার সঙ্গে অল্প ময়দা মিশিয়ে পরোটার ডো মেখে নিন। তারপর পরোটা ডো থেকে ছোট লেচি কেটে নিন। তারপর মধ্যে ছাতুর পুর ভরে দিন। তারপর পরোটাগুলো বেলে নিন। অল্প ঘি দিয়ে পরোটাগুলো ভেজে নিন। আচার ও টক দইয়ের সঙ্গে খেতে পারেন ছাতুর পরোটা।