ক্রমশ চড়ছে তাপমাত্রার পারদ। বিদায়ের মুখে শীত। ইতিমধ্যেই শহরে নিজের আগমনের জানান দিয়েছে বসন্ত (Spring Diet Plan)। লেপ-কম্বলে গুটিসুটির দিন এবার শেষ। মাধেমধ্যেই হালকা ঘাম এমনকী ফ্যানও চালাতে হচ্ছে। রাতের বেলা অনেকেই হালকা করে ফ্যান চালিয়েও ঘুমোচ্ছেন। এবারের শীত বেশ দীর্ঘস্থায়ী ছিল। আর শীত মানেই জমিয়ে খাওয়া-দাওয়া, পার্টি, বিয়েবাড়ির (Wedding Season) মরশুম। ফলে সকলেরই কিন্তু এক কেজি হলেও ওজন বেড়েছে। বিয়েবাড়ি, অনুষ্ঠানের কোনও কমতি নেই। কিন্তু ফিট থাকতে ওজন কমাতেই হবে। আর ওজন কমানোর জন্য কিন্তু সবথেকে ভাল হল এই গ্রীষ্মকাল। শীতের দিনে বেশিরভাগই চা-কফি খান। এই অতিরিক্ত চা-কফি কিন্তু ওজন বাড়ার কারণ। তবে রান্নাঘরে থাকা এই সব সাধারণ উপকরণ দিয়েই বানিয়ে ফেলুন ওয়েট লস পানীয় (Weight Loss Drink Recipe)।
পুষ্টিবিদ প্রীতিকা বেদি তাই দিয়েছেন বিশেষ পরামর্শ। রান্নাঘরে থাকা এই কিছু সাধারণ উপাদান খুঁজে বের করেছেন প্রীতিকা। এই সব উপাদান আমাদের বিপাক ক্রিয়া বাড়াতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে এই সব পানীয়ের মধ্যে কিন্তু কোনও ক্যালোরি বা শর্করা নেই। গরমে এই সব পানীয় ওজন কিন্তু দ্রুত ঝরাবে।
দারুচিনির জল- দারুচিনি আমাদের ওজন কমাতে কিন্তু দারুণ সাহায্য করে। সেই সঙ্গে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। এছাড়াও হজমের সমস্যা দূর করতে দারুচিনির জুড়ি মেলা ভার। এক গ্লাস ইষদুষ্ণ জলে হাফ চামচ দারচিনির গুঁড়ো, হাফ চামচ লেবুর রস, হাফ চামচ মধু মিশিয়ে খান। এতে কিন্তু শরীর থাকবে সুস্থ। সকালে খালি পেটে খেতে পারলে কমবে ওজনও।
জিরের জল- ওজন কমাতে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হল জিরের জল। আর তাই প্রীতিকা পরামর্শ দিচ্ছেন রোজ সকালে খালি পেটে জিরের জল খাওয়ার। এক চামচ জিরে আর মেথি রাতে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে তা ছেঁকে নিয়ে খান। এছাড়াও আদা ফুটিয়ে সেই জল ছেঁকে নিয়ে তাতেও জিরে ভিজিয়ে খেতে পারেন। এতে হজমের সমস্যা দূর হয়, নিয়ন্ত্রণে থাকে ওজনও।
অ্যাপেল সিডার ভিনিগার- ওজন কমাতে কিন্তু অ্যাপেল সিডার ভিনিগারএ বেশ কার্যকরী। সকালে ব্রেকফাস্টের আগে এক কাপ গরম জলে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে খান। এর মধ্যে থাকা অ্যাসিটিক অ্যাসিড আমাদের মেটাবলিজম বাড়ায়। সেই সঙ্গে কিন্তু ওজন কমাতেও সাহায্য করে। এছাড়াও রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বজায় রাখতে এই পানীয়টি সাহায্য করে। অ্যাপেল সিডার ভিনিগার কিন্তু খিদেও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
লেমন গ্রিন টি- গ্রিন-টি এর মদ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আমাদের ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। এছাড়াও মেটাবলিজম বাড়াতে ভূমিকা রয়েছে গ্রিন-টি এর। শরীরে এনার্জি বাড়াতেও ভূমিকা রয়েছে অই চায়ের। সেই সঙ্গে ওজন কমাতেও সাহায্য করে এই চা।
রসুন ও মধু- এক কোয়া রসুন ওজন কমাতে সাহায্য করে। ইষদুষ্ণ জলে মধু মিশিয়ে খান। সঙ্গে দু কোয়া রসুন চিবিয়ে খান। এতে মেটাবলিজম যেমন বাড়বে তেমনই শরীর সুস্থ।