ভারতীয় রান্নাঘরে অনেক রকম মশলা (Indian Spices) রয়েছে। আর এই প্রতিটি মশলার কিন্তু একাধিক উপকারিতাও রয়েছে। নিয়মিত ভাবে এই সব মশলা খেতে পারলে একাধিক রোগ, জ্বালা দূরে থাকে। এছাড়াও এলাচের একটি নিজস্ব স্বাদ ও গন্ধ রয়েছে। যে কোনও মিষ্টি থেকে মাছ, মাংস- এলাচ (Cardamom) কয়েকদানা না পড়লে যেন রান্নায় স্বাদবদলই হয় না। এই এলাচের কিন্তু একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে। আমাদের শরীরে খিদে নিয়ন্ত্রণ করতে যেমন সাহায্য করে তেমনই শরীরে হরমোনের ক্রিয়া কলাপ বজায় রাখতেও সাহায্য করে এই মশলা। সম্প্রতি এই সব মশলার উপকারিতা নিয়ে চিকিৎসক দীক্ষা ভাবসার, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করেছেন তাঁর ইন্সটাগ্রামে। সেখানেই তিনি বলেন, আমাদের হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে এলাচের। তেমনই ঘ্রেলিন ও লেপটিনের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখতেও এই মশলা খুবই ভাল।
তিনি আরও বলেন, আর্য়ুবেদ শাস্ত্র অনুসারে পরিপাকে, শরীরের ফোলাভাব কমাতে এবং অন্ত্রে গ্যাস উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিন্তু ভূমিকা রয়েছে এলাচের। এছাড়াও কফ, কাশির সমস্যাতে কাজে আসে এই এলাচ। এলাচের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যে কারণে, ফুসফুসে সংক্রমণ জনিত সমস্যায় কিংবা হাঁপানির মত সমস্যা থাকলে এলাচ খাওয়ার কথা বলা হয়। তবে যাঁদের শ্বাসকষ্ট বা অন্য কোনও সমস্যা রয়েছে তাঁরা কিন্তু অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপরই খাবেন। এছাড়াও মুখে দুর্গন্ধ হলে, বমি বমি ভাব থাকলে, অতিরিক্ত খিদে-তৃষ্ণা থাকলে, পেট ফাপা, হেঁচটি, গ্যাসট্রাইটিসের সমস্যাতেও কিন্তু দারুণ কাজ করে এই এলাচ। তবে এলাচ খাওয়ারও কিন্তু বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে। একসঙ্গে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলবেন না।
এলাচের ছোট টুকরো চায়ে দিন। কিংবা ২৫০-৫০০ মিলিগ্রাম পরিমাণ এলাচ গুঁড়ো ঘি বা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। চায়ে এলাচ, দারচিনি একসঙ্গে দিয়ে ফুটিয়ে খান।
নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধের মত সমস্যা কিংবা ডায়ারিয়া হলে আগে এলাচ ভাল করে চিবিয়ে নিন। এবার সেই রস ধীরে ধীরে গিলে ফেলুন।
যে কোনও খাবার খাওয়ার এক ঘন্টা আগে এলাচ চা খান। এতে খিদে-মন্দার সমস্যা দূর হয়। হজম ভাল হয়। সেই সঙ্গে গ্যাস-অম্বলের মত সমস্যাও কিন্তু আসে না। এক গ্লাস ইষদুষ্ণ জলে তিন থেকে চারটে এলাচ ফেলে ভিজিয়ে রাখুন। এবার সারাদিনে সেই জল ছেঁকে নিয়ে পান করুন। এতেও কিন্তু একাধিক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
যে কোনও মিষ্টি বানাতে এলাচ ব্যবহার করুন। এতে বাড়বে খাবারের স্বাদ।