
পরিপাকতন্ত্র ঠিক রাখতে নিয়মিত পাকা পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক, পুষ্টিবিদরা। সুগারের রোগীদের জন্য যেমন পেঁপে উপকারী তেমনই ওজন কমাতেও সাহায্য করে পাকা পেঁপে। পেঁপের মধ্যে থাকে ভিটামিন সি, ফোলেট, ফাইবার। এছাড়াও পেঁপের মধ্যে থাকে প্যাপাইন। এর ফলে হজম শক্তি বাড়ে সেই সঙ্গে পেটেরও কোনও সমস্যা হয় না। পেঁপের মধ্যে যে প্যাপাইন থাকে যা প্রোটিন ভাঙতে কাজ করে। যার ফলে হজমশক্তি ঠিক থাকে। পেঁপের মধ্যে ফাইবার বেশি পরিমাণে থাকায় মলত্যাগেও কোনও রকম সমস্যা হয় না। পেঁপের উপকারিতা অনেক। তবে পেঁপে খাওয়ার বেশ কিছু অপকারিতাও রয়েছে। পেঁপের সঙ্গে ভুল করে এই সব খাবার খেলেই পড়তে হবে মুশকিলে। পুষ্টিবিদ শিখা আগরওয়াল দিয়েছেন বিশেষ এই টিপস। পেঁপে খাওয়ার পর এই সব খাবার অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে।
দুধ এবং দই- পাকা পেঁপে খাওয়ার পর দুধ আর দুধের তৈরি কোনও খাবারই খাওয়া চলবে না। কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম, পেটফাঁপার সমস্যা এমনকী ডায়ারিয়াও হতে পারে পেঁপের পর দুধ, লস্যি, টকদই এসব খেলে।
সি ফুড- পেঁপের মধ্যে কাইমোপাপিন নামের একটি এনজাইম থাকে। যা অন্য কোনও ফল বা খাবার সঙ্গে মিশে গেলে সেখান থেকে বিষক্রিয়া হতে পারে। সামুদ্রিক মাছের সঙ্গে পেঁপে মিশলে বাজে গন্ধও ওঠে। তাই ভুল করেও এই মাছ আর পেঁপে একসঙ্গে খাবেন না।
টক খাবার- পেঁপের স্বাদ মিষ্টি। আর তাই পেঁপে খাওয়ার পর টক বা কোনও মশলাদার খাবার খেলে চলবে না। পেঁপের পর টক বা মশলাদার খাবার খেলে হজমের খুবই সমস্যা হয়।
চা– চায়ের মধ্যে থাকে ক্যাটেচিন। আর পেঁপে খাওয়ার পর পরই চা খেলে হতে পারে সমস্যা। গ্যাস্ট্রিক তো হবেই। আর তাই চায়ের সঙ্গে কখনই কোনও ফল খাবেন না।
ডিম– পেপিন আর ভিটামিন সি-এর সঙ্গে প্রোটিন এবং ওমেগা-৩ এর সংমিশ্রণ একেবারেই ভাল নয়। এতে পেপের উপর চাপ পড়েই। সেখান থেকে কোষ্ঠকাঠিন্য, বমি এমন সমস্যা হতেই পারে।
লেবু- অনেকেই পাকা পেঁপের উপর নুন আর লেবু ছড়িয়ে স্যালাডের মত করে খান। এই ভুল অভ্যাস শরীরকে একেবারে শেষ করে দেয়। সেই সঙ্গে হতে পারে রক্তাল্পতার সমস্যাও।