
শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হল খাবার। কারণ শরীরের প্রয়োজনীয় যাবতীয় শক্তি আসে এই খাবার থেকে। তবে কী খাবার খাচ্ছেন, কখন খাচ্ছেন আর কেমন খাবার খাচ্ছেন তার উপরও নজর রাখা খুব জরুরি। খাবার ঠিক ভাবে খেলে তবেই তা শরীরের কাজে লাগে। আর তাই খাবার ব্যাপারে খুব সচেতন থাকতে হবে। বিশেষত ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে। ডায়েটেশিয়ানদের মতে ফলও নিয়ম মেনে খেতে হবে। কারণ সব ফলের সঙ্গে সব খাবার হজম হয় না। আর তাই জেনে নিন কোন ফলের সঙ্গে কোন খাবার একেবারেই খাবেন না।
কমলালেবুর সঙ্গে গাজর একেবারেই খাবেন না। গাজর আর কমলার জুস স্বাস্থ্যের জন্য একেবারে ভাল নয়। এতে হিটবার্নের মত সমস্যা হতে পারে। সেই সঙ্গে কিডনির উপরও চাপ পড়ে। তাই কোনও ভাবেই গাজর আর কমলালেবু একসঙ্গে মিশিয়ে খাবেন না।
লেবু আর পেঁপে অনেকেই একসঙ্গে খান। তবে এই ফল একসঙ্গে একেবারেই খাবেন না। এমনকী প্রসাদেও লেবু, পেঁপে কখনই একসঙ্গে রাখবেন না। কারণ পেঁপে আর লেবু হল মারাত্মক দুই সংমিশ্রণ। যার থেকে রক্তাল্পতা, হিমোগ্লোবিনের ভারসাম্যহীনতা এসব হতে পারে।
সব ফল মিশিয়ে যখন স্যালাড বা চাট বানানো হয় তখন পেয়ারা আর কলা থাকেই। কাটা ফলের মধ্যে খুবই সাধারণ এই দুই ফল। এছাড়াও প্রসাদ হিসেবে তো থাকেই। এই দুটি ফল একসঙ্গে খেলে অ্যাসিডোসিস, বমি বমি ভাব, গ্যাস, মাথাব্যথা, বদহজম-সহ একাধিক সমস্যা হতে পারে।
ফল আর শাকসবজিও একসঙ্গে খাওয়া ঠিক নয়। অনেকেই আপেল, গাজর, পালং, বিটের জুস মিশিয়ে ডিটক্স ওয়াটার বানান। যা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। এছাড়াও জলের মধ্যে আপেল, শসা, গাজরের স্লাইস ফেলে রাখবেন না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। একসঙ্গে খেলে ডায়ারিয়া, মাথাব্যথা, পেটে সংক্রমণ, পেটে ব্যথা এসব হতে পারে।
দুধ আর কমলালেবুও একসঙ্গে খাবেন না। এতে হজম হয় না সেই সঙ্গে হিতে বিপরীত হতে পারে। কমলালেবুতে উপস্থিত অ্যাসিড দুধকে কিছুতেই হজম করতে দেয় না। এতে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ এনজাইমগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। এই দুই খাবার একসঙ্গে খেলেই যেচে অ্যাসিডিটিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
আনারসে ব্রোমেলাইন রয়েছে যা একরকম এনজাইম। এই এনজাইম দুধের সংস্পর্শে আসলে পেটে গ্যাস, বমি বমি ভাব সহ- একাধিক উপসর্গ থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মাথা ব্যথা, পেটের সংক্রমণের সম্ভাবনাও থেকে যায়।