
কোভিড পরবর্তী সময়ে যে সব রোগের প্রকোপ বেড়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল হরমোন ঘটিত নানা সমস্যা। আর এই তালিকায় রয়েছে থাইরয়েডও। থাইরয়েড গ্রন্থি শরীরের শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে। এই থাইরয়েড হরমোন যদি খুব বেড়ে যায় বা কমে যায় তখনই শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা যায়। থাইরয়েড দু রকমের হয়। প্রথমটি হল হাইপোথাইরয়েডিজম আর দ্বিতীয়টি হল হাইপারথাইরয়েডিজম। থাইরয়েড হরমোন যদি পরিমাণে কম তৈরি হয় তাহলে সেখান থেকে ক্লান্তি, ওবেসিটি একাধিক সমস্যা হতে পারে। আবার থাইরয়েড হরমোন পরিমাণে বেশি উৎপন্ন হলে সেখান থেকে ওজন কমে যাওয়া, ক্লান্তি, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া একাধিক সমস্যা হতে পারে। আর তাই প্রত্যেক মানুষের উচিত বছরে অন্তত দুবার TSH, T3, T4, অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করানো। থাইরয়েডের সমস্যা হলেই ত্বক রুক্ষ্ম হয়ে যায় একই সঙ্গে চুল পড়া, বিপাক কমে যাওয়া, পিরিয়ডের সমস্যা নানাবিধ শারীরিক অসুবিধে হতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ তো খেতেই হবে পাশাপাশি চুমুক দিন এই সব চায়ে। এতে শরীর সুস্থ থাকবে আর নিয়ন্ত্রণে থাকবে থাইরয়েডও।
ভেষজ চা তৈরি করতে যা লাগবে
১ গ্লাস জল, ২ টেবিল চামচ ধনে বীজ, ৫টি কারি পাতা, ১ চা চামচ শুকনো গোলাপের পাপড়ি, ১টি এলাচ, ১ ইঞ্চি দারুচিনি, ১ চা চামচ মৌরি বীজ এবং ১ চা চামচ দার্জিলিং গ্রিন টি
চা তৈরির পদ্ধতি
একটি পাত্রে সব উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে মাঝারি আঁচে ৫-৭ মিনিট ফুটিয়ে নিন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল মহৌষধি। এই চায়ের মধ্যে ১ চামচ দেশি ঘি মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে পুষ্টিগুণ অনেক বেশি বাড়বে। এই চা মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে সেই সঙ্গে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এমন চায়ের জুড়ি মেলা ভার। এই চা নিয়মিত খেলে চুল পড়াও অনেক কমে যাবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে অন্য কোনও চা না খেয়ে চুমুক দিন এই চায়ে। শরীর সুস্থ থাকবেই।