
রান্নাঘরে আদা আর মধু নেই এমন বাড়ি খুঁজে পাওয়া দায়। এছাড়াও এই দুই উপাদানের রয়েছে একাধিক স্বাস্থ্যকর উপকারিতা। আদা-মধু একসঙ্গে খেতে পারলে ফ্যাট গলে, হজম ভাল হয়, শরীরের অতিরিক্ত চর্বি গলে যায়, একই সঙ্গে সর্দি-কাশি বা সংক্রমণজনিত যে কোনও অসুখ থেকেই রক্ষা করে। আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। তাই এখনও খুশখুশে কাশি হলে ভরসা সেই আদা-চায়েই। খাবার হজম করাতেও বিশেষ ভূমিকা রয়েছে আদার। গরম জলে সামান্য আদা থেঁতো করে ফেলে খেতে পারলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা থাকে না। পিরিয়ডের সময় মেন্সট্রুয়াল ক্র্যাম্প সারাতেও কাজ করে আদা। হৃদরোগ, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে অর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ এই আদা। মধুর মধ্যে থাকে একাধিক খনিজ, যা আমাদের শরীরে রোগ-প্রতিরোধম ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
প্রাচীন কাল থেকেই আর্য়ুবেদিক টোটকা হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে এই আদা আর মধু। আর্য়ুবেদ শাস্ত্রেও এর গুণাগুণ বর্ণনা করা রয়েছে। সেখানেই উল্লেখ আছে সর্দি-কাশি বা সংক্রমণজনিত সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি যৌন ক্ষমতা বাড়াতেও কিন্তু সাহায্য করে এই আদা-মধুর চা। তাই আর্য়ুবেদ বিশে।জ্ঞরা বলছেন বিবাহিতরা রোজ যদি এই চা খান তাহলে দাম্পত্য সুখ থাকবে ভরপুর। বিশেষত ছেলেদের ক্ষেত্রে।
আদা-মধুর উপকারিতা
*আজকাল ছেলে-মেয়ে উভয়েই নানা হরমোনজনিত সমস্যায় ভুগছেন। অতিরিক্ত স্ট্রেস, কর্মজীবনে চাপ, ঘন ঘন ধূমপান-মদ্যপান ছেলেদের শরীরে কমিয়ে দিচ্ছে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা। সেই সঙ্গে স্ট্রেস থাকছে নিয়ন্ত্রণে। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং রক্ত প্রবাহ বাড়াতে ভূমিকা রয়েছে এই আদা-মধুর।
*টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ কমতে থাকার পাশাপাশি কমছে ভাল শুক্রাণুর সংখ্যাও। সেই সঙ্গে কমছে শুক্রাণুর গুণগত মান। যে কারণে কমছে সন্তান ধারণের ক্ষমতা। এর নেপছ্য কারণ হিসেবে স্ট্রেসকেই দায়ী করেছেন চিকিৎসকেরা।
*ইরেকশন ঠিক রাখতে রক্তচলাচল ঠিক রাখা জরুরী। নইলে লিবিডো কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। রক্তচলাচল ঠিকমতো না হলে বীর্যপাতের পরিমাণও কমে যায়।
*শরীরে ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে আদা আর মধু। খুব যখন ক্লান্ত লাগে তখন স্নান করে এককাপ আদা-মধু দিয়ে চা খাওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। কিংবা আদা থেঁতো করে জলে ফেলে ভাল করে ফুটিয়ে নিয়ে ছেঁকে খান মধুর সাহায্যে। মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাধার সমস্যা, হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে এই আদা-মধুর মিশ্রণ।
*ওজন বাড়লেও কমে যায় যৌনইচ্ছে। সেই সঙ্গে সঙ্গমের সময় একাধিক সমস্যাও হয়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। আর বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলতে মধু আর আদা যে কতখানি উপকারি তা অনেকেই জানেন।
কী ভাবে খাবেন
রোজ সকালে দুকুচি আদা চিবিয়ে এক চামচ মধুর সঙ্গে খেতে পারেন।
আদা থেঁতো করে জলে ফেলে তা ছেঁকে নিয়ে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
আদা থেঁতো করে জলে ফেলে তার মধ্যে সামান্য গ্রিন-টি ফেলে দিন। এবার ছেঁকে নিয়ে খান।