
কোভিড পরবর্তী সময়ে অনেক রকম সমস্যা বেড়েছে। সেই তালিকায় যেমন আছে মানসিক সমস্যা তেমনই আছে থাইরয়েডের সমস্যাও। থাইরয়েডের স্থায়ী কোনও নিরাময় নেই। অনেকে লক্ষণ দেখেও বুঝতে পারেন না। ফলে দেরী করে ওষুধ শুরু হলে শরীরে নানা সমস্যা হয়। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে তৈরি হয় থাইরয়েড হরমোন। এই হরমোন বেশি যেমন ভাল নয় তেমনই কম হলেও ঠিক নয়। হাইপারথাইরয়েডিজম হল এমন একটি অবস্থা যেখানে থাইরয়েড হরমোন পরিমাণের তুলনায় অতিরিক্ত উৎপাদিত হয়। অন্যদিকে হাইপোথাইরয়েডিজমে এই হরমোন পরিমাণে কম তৈরি হয় বা একেবারেই তৈরি হয় না। আর তাই রক্তপরীক্ষায় যদি থাইরয়েড ধরা পড়ে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। প্রয়োজন মতো ওষুধ খাবেন। থাইরয়েডের ওষুধ নিজে থেকে বন্ধ করবেন না। ওষুধের ডোজও চিকিৎসকই ঠিক করে দেবেন। এছাড়াও থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখতে জোর দিন বিশেষ কিছু খাবারেও।
কুমড়ো বীজ- কুমড়োর বীজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের খুব ভাল উৎস। যা T4 কে সক্রিয় T3-তে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করে। আর তাই থাইরয়েডের সমস্যা হলে রোজ ডায়েটে রাখুন কুমড়ো বীজ।
কারিপাতাও থাইরয়েডের জন্য খুব ভাল। কারিপাতা থাইরক্সিন হরমোন নিয়ন্ত্রণে থাকতে সাহায্য করে। কারিপাতা T4 উৎপাদন বাড়ায়। সেই সঙ্গে রক্তে ক্যালশিয়ামের মাত্রা বজায় রাখতেও সাহায্য করে।
সবজা বীজের মধ্যে থাকে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। যা বিপাক ঠিক রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে।
থাইরয়েড রোগীদের যেমন ফুলকপি খাওয়া বারণ তেমনই মুগ ডাল থাইরয়েডের রোগীদের জন্য খুব ভাল। মুগ ডাল হজম করা প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই সহজ। মুগ ডাল আয়োডিনে ভরপুর। আর তাই রোজ খেলে উপকার পাবেন।
টকদইও আয়োডিনের অনেক বড় উৎস। এছাড়াও টকদই হল প্রোবায়োটিক, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। থাইরয়েড অনেকসময় অটোইমিউন রোগের কারণও হয়। আর টকদই শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে। রোজ একবাটি টকদই জাগেরি পাউডার দিয়ে অবশ্যই খান।
বেদানাও খুব ভাল কাজ করে থাইরয়েডের ক্ষেত্রে। বেদানার মধ্যে যে পলিফেনল থাকে তা থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে প্রদাহ জনিত সমস্যাও কমায়।