
এই গাছ যদি একবার বাড়ির উঠোনে লাগানো হয় তাহলে আর চিন্তা নেই কোনও ভাবেই তা উপড়ে ফেলা যায় না। সারাবছর প্রয়োজন হলেও গরমে এই পাতার প্রয়োজনীয়তা একটু বেশি। গরমের দিনে একমুঠো শীতলতা এনে দিতে এই পাতার জুড়ি মেলা ভার। গরমে নানা রকম শরবত আর পানীয় বানানো হয় বাড়িতে বাড়িতে। রাস্তার মোড়েও এই সময় প্রচুর শরবতের দোকান বসে। নুন-লেবুর শরবতে পুদিনা পাতা মিশলে যেমন স্বাদ বাড়ে তেমনই পুদিনা পাতার শরবতও খেতে ভাল লাগে এই রোদের দিনে। এছাড়াও তরমুজের জুস গরমের দিনে শরীর ঠান্ডা রাখতে খুব ভাল সাহায্য করে। পুদিনা পাতার মধ্যে রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন এ, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, ফোলেট। যা শরীরের একাধিক কাজে লাগে। এই সব উপাদান দৃষ্টিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। পুদিনা পাতার মধ্যে থাকে দ্রবণীয় বেশ কিছু ভিটামিন, থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা চোখকে বড় কোনও ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
এছাড়াও পুদিনা পাতা ব্যবহার করা যায় এই সব চিকিৎসার সমাধানেও
আইবিএস বা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমেও এখন অনেকে ভুগছেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজমের সঙ্গে সংযুক্ত এই অসুখ। যাদের প্রায়শই পেট ব্যথা, গ্যাস, পেট ফাঁপার মত সমস্যা লেগে থাকে তারাই কিন্তু ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমে বেশি ভোগেন। সম্প্রতি গবেষণা বলছে পুদিনা পাতা এই সমস্যা থেকে দারুণ ভাবে মুক্তি দিতে পারে। আর তাই রোজ পুদিনা পাতা খেলে ওষুধে প্রয়োজন হয় না।
ক্লান্তি এবং উদ্বেগ দূর করতেও সাহায্য করে এই পুদিনা পাতা। ডিপ্রেশন থেকে দূরে থাকতে কাজ করে পুদিনা। ক্লান্তি দূর করে স্নায়ুকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এই পুদিনা। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও তা কাজে আসে।
এই খামখেয়ালি আবহাওয়াতে প্রচুর মানুষ সর্দি-গর্মির সমস্যায় ভুগছেন। বাইরের প্রচণ্ড গরম থেকে হঠাৎ করে এসি ঘরে ঢুকলে সর্দি অবধারিত। এই সর্দি আবার চট করে সারানো যায় না। সর্দি, নাক বন্ধ, নাক দিয়ে জল পড়া এসব লেগেই থাকে। এক্ষেত্রে পুদিনা পাতার চা বানিয়ে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
পুদিনা পাতা কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
পুদিনা পাতা দিয়ে চা বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এই গরমে সবথেকে ভাল যদি পুদিনা পাতা ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। আমপোড়ার শরবতের সঙ্গে মেশাতে পারেন, জিরের শরবতের সঙ্গেও মিশিয়ে নিতে পারেন এই পুদিনা পাতা।