শরীরে ভাল আর খারাপ এই দু রকম কোলেস্টেরলই থাকে। তবে এলডিএল কোলেস্টেরলের পরিমাণ কোনও মতেই বাড়তে দেওয়া ঠিক নয়। এই কোলেস্টেরল বাড়লে শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। আর তাই আগে থেকে সতর্ক থাকতে পারলে সবচাইতে ভাল। অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার খেলে সেখান থেকে কোলেস্টেরল বেড়ে গিয়ে শিরায় জমে যাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। স্যাচুরেটেড ফ্যাট আর ট্রান্স ফ্যাট বেশি পরিমাণে খেলে সেখান থেকেই কোলেস্টেরল বৃদ্ধির সম্ভাবনা বাড়ে। মাখন, ঘি, মাংস, পনির, দুধ, আইসক্রিম এসবের মধ্যে ট্রান্স ফ্যাট বেশি পরিমাণে থাকে। আর এই খাবার নিয়মিত ভাবে খেলে উচ্চ ঘনত্বের লিপোপ্রোটিন কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ে।
কোলেস্টেরল একরকম আঠালো চটচটে পদার্থ। আর তা যদি শিরায় একবার জমতে থাকে তাহলে স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে হার্টেও কম পরিমাণ রক্ত যায়। রক্তের প্রবাহ স্বাভাবিক না হলে তখনই রক্তচাপ বেড়ে যায়। স্ট্রোক, হার্ট অ্যার্টাকের সম্ভাবনা বেড়ে যায় তখন।
আর তাই ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে। ফাইবার বেশি খেলে শরীর থেকে যাবতীয় টক্সিন এমনিই বেরিয়ে যাবে। আর তাই রোজ ১টা করে আপেল খেতে পারেন। একটা করে আপেল খেতে পারলে অনেক রোগ সমস্যা থাকবে দূরে।
গাজরের মধ্যে ফাইবার আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে থাকে। ১২৮ গ্রাম গাজরের মধ্যে ২.৪ গ্রাম দ্রবণীয় ফাইবার থাকে। আর তাই গাজর বেশি করে খেলে শরীরে কোনও রকম কোলেস্টেরল জমে না।
এছাড়াও রোজ ভেজানো ছোলা, মটর এসব খেতে হবে। ওটস খান। এই সব খাবারের মধ্যে ফাইবার বেশি থাকে বলে পেট পরিষ্কার থাকে। আর কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে দিনের মধ্যে দুবার ইসবগুলের ভূষি খান। এতে পেটের সমস্যা থাকবে দূরে।