
ডিসেম্বর পড়তেই জাঁকিয়ো ঠাণ্ডা পড়েছে। যদিও কলকাতায় শীতের তেমন আমেজ উপভোগ করা যাচ্ছে না। ঠাণ্ডার মজা নিতে অধিকাংশ মানুষই এখন পাহাড়মুখী। এমনকী শহরতলিতেও বিশেষ ঠাণ্ডার প্রকোপ নেই। তবে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে খানিক বেড়েছে ঠাণ্ডা। গরম থেকে যাঁরা হঠাৎ করে শীতের জায়গায় যাচ্ছেন তাঁদের একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। মূলত পেটের সমস্যা। খাবার কিছুতেই হজম হতে চায় না। সেই সঙ্গে সর্দি, কাশি, বুকে কফ জমা এসব তো লেগেই থাকে। যে কোনও সংক্রমণজনিত ব্যাধি বাড়ে এই শীতেই। আর তাই শীতে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয় সকলকেই। যাঁরা ঠাণ্ডার জায়গায় থাকেন তাঁরা যদি এই জুস খেতে পারেন তাহলে যেমন উপকার পাবেন তেমনই ঠাণ্ডা আবহাওয়াতে এই সবজির জুস শরীরের জন্য খুব ভাল।
শীতকালে বাজারে প্রচুর পরিমাণ সবজি পাওয়া যায়। টাটকা সেই সব সবজি দেখলেই ব্যাগ ভরিয়ে নেওয়ার লোভ হয়। হলুদ, বিট, গাজর, আমলা এই সব শীতের দিনে যেমন উপকারী তেমনই খেতেও ভাল লাগে। আর এই সব সবজি রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
হলুদ, গাজর, বিটরুট, আমলা ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে। এবার তা ব্লেন্ডারে দিয়ে ভাল করে পিষে নিতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না খুব ভাল করে পিষে যাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এবার ছাঁকনি দিয়ে তা ছেঁকে নিতে হবে। সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে তারপর খান।
নিয়মিত ভাবে এই রস খেতে পারলে পেট ঠিক থাকে, অন্ত্রের কোনও সমস্যা আসে না পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতাও বজায় থাকে। শীতে অনেকেই ফলের রস খান। এই সময় তাজা কমলালেবু পাওয়া যায়। ফলে টাটকা অরেঞ্জ জুসের মজাই আলাদা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন ফলের রস না খেয়ে সবজির রস বানিয়ে খেতে। ফলের মধ্যে ফ্রুক্টোজের পরিমাণ বেশি থাকে। যার থেকে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। এমনকী প্যাকেটজাত জুসও একেবারেই খাওয়া ঠিক নয়।
হলুদ, আদা, গাজর এই সব সবজির মধ্যে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটারি বৈশিষ্ট্য যেমন আছে তেমনই অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর। সেই সঙ্গে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, কে, পটাশিয়াম এই সব পুষ্টি উপাদান তো থাকেই।