এখন সব বাড়িতেই মাছের চাইতে চিকেের দিকেই ভোট বেশি। চিকেন রান্না তুলনায় সহজ আর ঝামেলাও অনেক কম। ছোট থেকে বড় সকলেই চিকেন খেতে ভালবাসেন। তবে চিকেন যত সহজে হজম করা যায় মাছ কিন্তু হয় না। ভাল করে ভেজে মাছ রান্না না করলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত ঢেকুর ওঠে। সর্ষেবাটা দয়ে মাছের ঝালও অনেকে খেতে পারেন না। খেলেই গ্যাস-অম্বলের সমস্যা হয়। শরীরের জন্য উপকারী ছোটমাছ আবার বাড়ির সকল সদস্যের না পসন্দ! সুতরাং ভোটে চিকেনই থাকে এগিয়ে। পাতে চিকেন দেখলেই একগাল হাসি থাকে ছোট থেকে ধেড়ে-সব বয়সীদের। চিকেনের মধ্যে ফাইবার বেশি থাকায় হজম করতেও বিশেষ বেগ পেতে হয় না। চিকেনের সবচাইতে ভাল দিক হল- যেভাবে খুশি বানিয়ে নেওয়া যায়।
শীতের দিনে অনেক বাড়িতেই হয় ধনিয়া চিকেন। যদিও এখন সারাবছরই ধনেপাতা পাওয়া যায়। রাতে রুটি দিয়ে এই ধনেপাতা চিকেন খেতে বেশ লাগে। আবার লাঞ্চেও এই চিকেন দু পিস খেলে প্রোটিন ব্যালান্সড হয়ে যাবে। একটু অন্য পদ্ধতিতে বানিয়ে নিলে এই চিকেন স্বাদেও হবে সেরা। চিকেন ভাল করে ধুয়ে নুন, হলুদ, লেবুর রস আর সরষের তেল দিয়ে ম্যারিনেট করে রাখতে হবে।
এবার পেঁয়াজ মিহি করে কুচিয়ে নিন। গোটা ধনে বড় তিন চামচ নিয়ে ভিজিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এরপর তা মিক্সিতে বেটে নিতে হবে। কড়াইতে সরষের তেল দিয়ে এলাচ, লবঙ্গ, দারচিনি ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ দিয়ে ভাজতে থাকুন। এরপর ম্যারিনেট করা চিকেন এতে মিশিয়ে দিতে হবে। কষতে কষতে টরদই আর কাজুবাটা দিন। বেটে রাখা ধনে ছাঁকনিতে ছেঁকে ওর জল মিশিয়ে দিন। ধনেপাতা-কাঁচালঙ্কা একসঙ্গে মিশিয়ে বেটে নিতে হবে। এবার তা চিকেনের মধ্যে মিশিয়ে নিতে হবে। এই চিকেনে জলের প্রয়োজন নেই। টকদই , ধনেপাতার জলেই বাকি রান্না হয়ে যাবে।