যাঁরা হোস্টেল-পিজিতে থাকেন তাঁদের জন্য রান্না বেশ ঝক্কির কাজ। একে বাড়ির বাইরে থাকা আর তার উপর নিজের খাবারের জোগাড় নিজেকেই করে নিতে হয়। বাড়িতে মা যেভাবে খেতে দেন সেইভাবে গুঠিয়ে আর কেউই খেতে দিতে পারেন না। নিজে রান্না করলে কোনও মতে পেট ভরানোর রান্না করা হয়। ভাত,ডাল, ডিম সেদ্ধ, ডিমের ঝোল, ওমলেট আর চিকেন-প্রাথমিক ভাবে এগুলো সবাই বানাতে পারেন। রান্নার ঝামেলা কমাতে আজ তাই থাকল ব্যাচেলরদের জন্য দারুণ একটি রেসিপি। এভাবে বানালে সময় তো কম লাগবেই আর প্রোটিনে ভরপুর দারুণ কিছু রান্নাও তৈরি হবে। মুসুর ডাল আর ডিম এই দুই এর মধ্যে অনেকটা পরিমাণে প্রোটিন থাকে। আর তাই এভাবে যদি একসঙ্গে বানিয়ে নিতে পারেন তাহলে গরম ভাতে তৃপ্তি করে খাবেন।
ডিম সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে গায়ে ছুরি দিয়ে কাট করে নিতে হবে। এবার তেলের মধ্যে নুন, হলুদ আর লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে ডিম হালকা করে ভেজে নিতে হবে। আলু ডুমো ডুমো করে কেটে রাখুন। কড়াইতে সেই নুন-হলুদ দিয়ে আলুর টুকরোগুলো দিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। ডিম-আলু ভাজা হলে কড়াইতে যে অবশিষ্ট তেল থাকছে ওই তেলে প্রথমে গোটা জিরে আর শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিতে হবে। ভাল করে ভেজে নিয়ে পেঁয়াজ কুচি, আদা রসুন বাটা দিয়ে আবারও ভেজে নিতে হবে।
এবার এতে সামান্য হলুদ, লঙ্কা গুঁড়ো, টমেটো লম্বা লম্বা করে কাটা, নুন মিশিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিতে হবে। মশলা কষে এলে ধুয়ে রাখা মুসুরের ডাল মিশিয়ে দিন। ডাল-মশলা খুব ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর পরিমাণ মত গরম জল মিশিয়ে দিন। ডাল ভাল করে সেদ্ধ হলে ভেজে রাখা আলু, স্বাদমতো নুন আর কাঁচালঙ্কা ডিন। ঢাকা দিয়ে একদম লো-মিডিয়াম আঁচে ডাল সেদ্ধ করে নিতে হবে। ১০ মিনিটে ডাল ভাল করে সেদ্ধ হয়ে যাবে। এবার ভাজা ডিমগুলো এর মধ্যে মিশিয়ে দিতে হবে। এবার গরম মশলা গুঁড়ো আর এক কাপ গরম জল মিশিয়ে ঢাকা দিয়ে ২ মিনিট রান্না করুন। সবেশেষে কুচনো ধনেপাতা ছড়িয়ে দিলেই তৈরি ডিম-ডাল।