
২ চামচ তেল গরম করে ফ্রাইং প্যানে ছোট টুকরো করে কাটা একটা আলু দিয়ে ভেজে নিতে হবে। ৩-৪ মিনিট ঢাকা দিয়ে ভাজলেই আলু সেদ্ধ হয়ে যাবে। এর মধ্যে ছোট একবাটি পেঁয়াজ কুচি মিশিয়ে দিতে হবে

ভাজা আলু আর পেঁয়াজ অন্য বাটিতে তুলে রাখুন। এবার একটা বাটিতে তিনটে ডিম ফেটিয়ে নিয়ে ওর মধ্যে হাফ কাপ দুধ, স্বাদমতো নুন, হাফ চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো, চিলি ফ্লেক্স দিয়ে খুব ভাল করে ফেটিয়ে নিতে হবে

ফেটানো হলে আগে থেকে ভেজে নেওয়া আলু আর পেঁয়াজ মিশিয়ে দিন। একমুঠো পালং শাক কুচি এর মধ্যে দিয়ে দিতে হবে। আবারও সব ভাল করে মিশিয়ে নিন

যে প্যানে আলু-পেঁয়াজ ভাজা হল সেখানে এক চামচ সাদা তেল বুলিয়ে দিয়ে ওর মধ্যে স্লাইস করে কাটা টমেটো দিয়ে দিতে হবে। গোল করে কাটা টমেটো প্যানের চারিদিকে ভাল করে সাজিয়ে দিন, এবার বানিয়ে নেওয়া ডিমের মিশ্রণ কিছুটা এর উপর ছড়িয়ে দিন

এবার এর উপর চিজের স্লাইস দিয়ে দিন। মাঝামাঝি দুটো স্লাইস বসিয়ে নিতে হবে। বাকি আলু-ডিম-পেঁয়াজের মিশ্রণ এর উপর ঢেলে কাঁটা চামচ দিয়ে চারিদিকে সমান করে ছড়িয়ে দিতে হবে

এবার ঢাকা দিয়ে লো মিডিয়াম আঁচে রেখে দিন। ৫ মিনিট পর ঢাকা সরিয়ে দেখবেন, প্রয়োজন হলে আরও ২ মিনিট রাখতে পারেন। এবার ঢাকনা খুললেই দেখবেন ডিম ফুলে ফেঁপে উঠবে। ছুরি দিয়ে পিৎজার মত চার টুকরো করে কেটে নিন

গরম গরম সসের সঙ্গে পরিবেশন করুন টেস্টি এই ওমলেট। ঠান্ডা হলে খেতে কিন্তু ভাল লাগবে না। একেবারে কম তেলে এই টিফিন বানিয়ে নেওয়া যায় আর এতে পেট অনেকক্ষণ পর্যন্ত ভর্তি থাকে। ব্রেকফাস্টে বা সন্ধ্যের জল খাবারে খেতে পারেন

বাচ্চাকে বাইরের খাবার না দিয়ে বাড়িতে বানানো এই সব খাবারই বেশি করে দিন। এতে সবজি থাকছে, কম তেলে বানানো হচ্ছে আর স্বাদও ভাল হয়। পেট ভর্তি থাকে অনেকক্ষণ, হজমের কোনও সমস্যা হয় না, এনার্জি বাড়ে আর বুদ্ধির বিকাশেও তা সাহায্য করে