নবরাত্রিতে নিরামিষ বাহার, বানিয়ে ফেলুন ‘ফলহারি পকোড়া’
ধনেপাতা এবং পুদিনার চাটনি, চাটমশলা আর বিটনুন দিয়ে খেতে বেশ ভালই লাগবে এই নিরামিষ পদ।
এখন নবরাত্রির সময়। অনেক বাড়িতেই নিরামিষ খাওয়ার চল রয়েছে। কিন্তু একঘেয়ে নিরামিষ পদ খেতে কারই বা ভাল লাগে। অতএব এবার নবরাত্রিতে নিজের রান্নাবান্না করার কৌশল দেখাতেই পারেন আপনি। চটজলদি পদ বানিয়ে চমকে দিতে পারেন পরিবারের সবাইকে।
সন্ধের স্ন্যাকস হিসেবে তাই বানিয়ে ফেলুন ‘ফলহারি পকোড়া’। নামে ফল থাকলেও অবশ্য এই আইটেম ফল দিয়ে তৈরি হবে না। বরং এই বিশেষ পকোড়া তৈরি করতে লাগবে আলু সেদ্ধ, কাঁচালঙ্কা কুচি, সামান্য ময়দা বা কনফ্লাওয়ার, ভাজা মশলার গুঁড়ো, আমচুর। এছাড়াও আপনি অন্যান্য মশলা দিতে পারে। যাঁরা বেশি ঝাল পছন্দ করেন তাঁরা লঙ্কা গুঁড়ো দিতে পারেন। যেহেতু নিরামিষ পকোড়া তাই সামান্য ড্রাই ফ্রুটস মানে কাজু, কিশমিশের সরু করে কাটা টুকরো দিলেও খেতে খারাপ লাগবে না। সেই সঙ্গে সুগন্ধের জন্য দিতে পারেন সামান্য মৌরি বাটা। আর লাগবে স্বাদমতো নুন।
কীভাবে তৈরি করবেন এই পকোড়া?
প্রথমে একটা বড় পাত্র আলু সেদ্ধর মধ্যে সমস্ত মশলা দিয়ে ভাল করে মেখে নিন। এরপর তার মধ্যে দিন সামান্য কর্নফ্লাওয়ার। নাহলে পকোড়া বাইন্ড বা বাঁধন হবে না, ছেড়ে যাবে। এর মাখা পুরের মধ্যে জল দেবেন না একেবারেই। সব উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে মাখা হয়ে গেলে ফ্রায়িং প্যান গরম করে তেল দিন। অল্প তেলে এই পকোড়া ভাজবেন। সেক্ষেত্রে অবশ্য বিষয়টাকে টিকিয়া টাইপ বলা হবে। একটু চ্যাপ্টা করে আলুর পুর ফ্রায়িং প্যানে দিয়ে এপিঠ-ওপিঠ উল্টে গাঢ় বাদামি রঙ করে ভাজতে হবে।
আর যদি সাবেকি পকোড়া স্টাইলের ভাজতে চান তাহলে ওই মিশ্রণে বেসন দিতে হবে। আর সঙ্গে লাগবে জল। অনেকটা ধোসা বা ইডলির ব্যাটারের মতো করে এই ব্যাটার তৈরি করতে হবে। তারপর কড়াইয়ে ছাঁকা তেলে পকোড়া ভেজে নিতে হবে। যাকে বলে একদম ডোবা তেলে ডিপ ফ্রাই হবে।
দু’ভাবেই এই খাবার তৈরি করা যায়। ধনেপাতা এবং পুদিনার চাটনি, চাটমশলা আর বিটনুন দিয়ে খেতে বেশ ভালই লাগবে এই নিরামিষ পদ।