Benefits Of Fennel Seed Water: জ্যোষ্ঠের ভ্যাপসা গরমে স্বস্তি নেই, চুমুকে চমক করবে এই শরবত!

TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক

Jun 04, 2022 | 8:29 AM

Summer Drink: মৌরির মধ্যে থাকে ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, আয়রন এবং পটাসিয়ামের মত উপাদান। যা শরীরে ইলেকট্রোলাইটের পরিমাণ বজায় রাখে। শরীরকে ভিতর থেকে ঠান্ডা রাখে

Benefits Of Fennel Seed Water: জ্যোষ্ঠের ভ্যাপসা গরমে স্বস্তি নেই, চুমুকে চমক করবে এই শরবত!
বানিয়ে নিন স্পেশ্যাল এই শরবত

Follow Us

উত্তর-পূর্ব ভারতে বর্ষা ঢুকে পড়লেও রাজ্যে কবে বর্ষা আসবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত কোনও তথ্য নেই আবহাওয়া দফতরের তরফে। প্রবল আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তির শিকার দক্ষিণবঙ্গ। খামখেয়ালি কালবৈশাখিতে ক্ষণিকের জন্য পরিবেশ ঠান্ডা হলেও সকাল হলে সেই একই অবস্থা। রোদের তাপ খুব বেশি না থাকলেও বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি। যে কারণে বাড়ছে অস্বস্তিও। ঘাম বেশি হলে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় খনিজও বেরিয়ে যায়। যে কারণে পেশিতে টান ধরে, ঘাড়ে-হাতে ব্যথা করে। সেই সঙ্গে শরীর ক্লান্তও লাগে। বিশেষজ্ঞরা সব সময় বলছেন বেশি করে জল খেতে। সেই সঙ্গে বাইরে বেরোলেই ব্যাগে এক বোতল নুন-চিনির জল রাখতে। আজকাল অধিকাংশ অফিসই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। হঠাৎ করে এসির বাইরে বেরোলে শরীর খারাপ লাগে, সঙ্গে চিটচিটে ঘামের কারণে মনেও থাকে একরাশ বিরক্তি। বিরক্ত হয়ে সঙ্গে সঙ্গে একটা আইসক্রিম কিংবা কোল্ডড্রিংকে চুমুক দিলে শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পরিবর্তে বাড়িতেই বানিয়ে নিন মৌরি-কিশমিশ -মিছরির এই স্পেশ্যাল শরবত। এতে পেট যেমন ঠান্ডা থাকবে সেই সঙ্গে শরীরও থাকবে ভাল।

পেট ঠান্ডা রাখতে বহু যুগ ধরেই ব্যবহার হয়ে আসছে মৌরি। এছাড়াও মৌরি হজমের জন্যেও খুব ভাল। যে কারণে হোটেল-রেস্তোরাঁ বা অনুষ্ঠান বাড়িতে খাবারের পর শেষপাতে আসে মৌরি। মৌরির মধ্যে থাকে ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, আয়রন এবং পটাসিয়ামের মত উপাদান। যা শরীরে ইলেকট্রোলাইটের পরিমাণ বজায় রাখে। শরীরকে ভিতর থেকে ঠান্ডা রাখে। ফলে অ্যাসিডিট, পেট ফাঁপার মত গরমের সাধারণ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও মহিলাদের গোপনাঙ্গ সুস্থ রাখতেও ভূমিকা রয়েছেন মৌরির। সেই সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্য, হট ফ্লাশের থেকেও শরীরকে রক্ষা করার ক্ষমতাগুণ রয়েছে মৌরির মধ্যে। এই মৌরির সঙ্গে যদি মেশান মিছরি আর কিশমিশ তাহলে এর উপকারিতা বেড়ে যায় আরও কয়েক গুণ। গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে ভূমিকা রয়েছে মিছরিরও। হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে মিছরি। অনেকের গরমে নাক দিয়ে রক্ত পড়ে, সেই সমস্যারও সমাধান করে মিছরি।

কিশমিশের মধ্যেও থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও কম। তাই সুগার রোগীদের জন্যেও বেশ উপকারী। কিশমিশে উপস্থিত পলিফেনোলিক ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। যে কোনও রকম ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকেও মুক্তি দেয় কিশমিশ। যে কারণে পরামর্শ দেওয়া হয় এই কিশমিশ-মৌরি-মিছরি একসঙ্গে মিশিয়ে শরবত বানিয়ে খেতে। এতে যেমন শরীর ঠান্ডা থাকবে তেমনই পাওয়া যাবে একাধিক উপকারিতাও। দেখে নিন কী ভাবে বানাবেন-

আগের রাতে মৌরি আর মিছরি ভিজিয়ে রাখুন। অন্য একটি গ্লাসে কিশমিশ ভিজিয়ে রাখুন। সকালে এই মৌরি আর কিশমিশ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। সঙ্গে দিন এক চামচ লেবুর রসও। স্বাদমতো নুনও দিতে পারেন, যদি ইচ্ছে হয়। রোদ থেকে ফিরে কিংবা খালিপেটেও এই শরবত খেতে পারেন। ইচ্ছে হলে ছড়িয়ে দিতে পারেন বরফ কুচিও।

Next Article