
বাড়ছে দূষণের মাত্রা। প্রবল গরমে ঘামের সঙ্গে ধুলো-ধোঁওয়ার স্তরও জমছে শরীরে। যে শ্বাসবায়ু আমরা রোজ গ্রহণ করছি তাও ক্রমস দূষিত হচ্ছে। ধোঁয়া, ধুলো এসব ফুসফুসে জমা হচ্ছে আর এতে ফুসফুস আরও খারাপ-দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। সিওপিডি, এমফিসেমা, ব্রঙ্কাইক্টেসিস এবং দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুসের ঝুঁকি বাড়ে এই দূষণ থেকে। সেই সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যা তো হয়ই। আর তাই এই গরমে সাবধানে থাকুন। প্রয়োজনে মাস্ক ব্যবহার করুন। এতে সব দিক থেকেই সাবধানে থাকতে পারবেন। এর সঙ্গে বদল আনতে হবে রোজের খাবারেও। এতে ফুসফুসে জমে থাকা সব ময়লা দূর হবেই সেই সঙ্গে ফুসফুস পরিষ্কার আর শক্তিশালী হবে। আমেরিকার চিকিৎসকদের দাবি অনুসারে ফুসফুস শক্তিশালী রাখতে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল খাদ্যতালিকায় বেশি করে সুপারফুড রাখা। সুপারফুডের মধ্যে থাকে খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট- এর ফলে ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ে। সেই সঙ্গে শ্বাসকষ্টের যাবতীয় সমস্যারও সমাধান হয়ে যাবে।
রোজকার ডায়েটে স্বাস্থ্য়কর চর্বি রাখতে হবে। সেই সঙ্গে অবশ্যই ক্যালোরি মেপে খাবার খেতে হবে। সেই সঙ্গে রোজ নিয়ম করে শুকনো ফল, মাছ, অলিভ অয়েল, বিভিন্ন রকম বীজ এসবও রাখুন ডায়েটে।
এর পাশাপাশি সবজি বেশি করে খেতে হবে। সেই সঙ্গে যে সব খাবারের মধ্যে স্টার্চ কম এমন সবই বেছে রাখুন ডায়েটে। ব্রকোলি, গাজর, টমেটো, পালং শাক, ক্যাপসিকাম, জুকিনি এরকম সব সবজি রোজ রাখতে হবে ডায়েটে।
ফুসফুস ভাল রাখতে বেশি করে প্রোটিনও খেতে হবে। শরীরের যা ওজন তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে অন্তত ১০ শতাংশ প্রোটিন খেতে হবে। মাছ, ডিম, মাংস এসব খান। তবে মাংস খুব মশলাদার খাবার একদম নয়। সব সময় হালকা রান্না করে খাবার খান। রোজ মাংস খেলে পরিমাণ মেপে খাবেন। ৭৫ গ্রামের বেশি একেবারেই নয়।
প্রচুর পরিমাণ জল খেতে হবে। চিকিৎসকেরা সব সময় বলেন চিনি, ফ্রুকটোজ, প্রক্রিয়াজাত শস্য, ময়দা এসব একেবারেই খাবেন না। এছাড়াও সোডা, কোল্ডড্রিংক, মিষ্টি দেওয়া ড্রিংক এসব একদম নয়। এমনকী বাইরে থেকে এসে ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা জল খাবেন না। এতে দ্রুত ঠান্ডা লাগে সেই সঙ্গে বুকে সর্দি জমে যাওয়ার মত সমস্যাও হবে না।